আর কতবার পেছানো হবে সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন?

- আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
১৭ বছরে পা রাখলো সার-রুনি হত্যার। দিন গণনায় ১৭ বছর কি খুব কম সময়? যে কোন সচেতন নাগরিকের তরফে স্পষ্ট উত্তর আসবে ‘না’।
সহজভাবে বলতে গেলে সাগর-রুনি দম্পত্তি জোড়া খুনের পর ইন্দিরা রোডের বাসা পরিদর্শন করে তৎকালীন স্বরাষ্টমন্ত্র এডভোকেট সাহারা খাতুন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খুনিরা চিহ্নিত, ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই তাদের আটক করা হবে।
একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থতার দায় নিয়ে চলে গেলেন। তার ঘোষণার বাস্তবায়ন তিনি বেচে থাকলে রক্ষা করতে পারেননি।
সতীর্থদের খুনের পর সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিচারের দাবিতে মাঠে নামে। কিন্তু সাংবাদিকদের দাবির প্রতি কোন সম্মান দেখানো হয়নি। তদন্ত নিয়ে একের পর এক সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার কোন আগ্রগতি তিমিরেই রয়েছে।
সেই সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৬ বার পেছানো হলো।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করতে পারায় আদালত নতুন এদিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিদেও মধ্যে রয়েছে, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক।
সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম।