ডিএমপি কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম, ছবি সংগ্রহ
তালেবানদের ডাকে বেম কয়েকজন বাংলাদেশি আফগান্তিানের পথে রয়েছেন বলে জানিয়েন, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তান দখলে যোগ দিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আফগানিস্তানের পথে রওনা হয়েছেন। আফগানযাত্রায় বেশ কয়েকজনকে ভারত সীমান্তে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটকের কথা জানান এবং কয়েকজন এখনও হেঁটে আফগানিস্তানের পথে রয়েছেন। এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
জাদুঘরের সামনে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এ সব কথা জানালেন ডিএমপি কমিশনার। রবিবার বাংলাদেশের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎবার্ষিকী পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।
করোনাকালীন কর্মসূচি পালিত হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। শফিকুল ইসলাম বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে জঙ্গিরা এখন বেশ সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়া ব্যবহার করে রিক্রুট ছাড়াও মানুষকে
উদ্বুদ্ধ করছে। সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, আফগানিস্তানের যুদ্ধে তালেবানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হলে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আফগানিস্তানের পথে রয়েছেন।
পশ্চিম আফগানিস্তানের প্রধান ও দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের দখল নিয়েছে তালেবানরা। সম্প্রতি খবর পাওয়া গিয়েছে যে, এলাকাগুলো তালেবানদের দখলে এসেছে নতুন
করে, সেখানে বিরোধী সব শক্তিকেই হত্যার পথে হাঁটছে তারা। হত্যা করা হচ্ছে যুদ্ধবন্দিদের, রক্ষা পাচ্ছেন না সাধারণ নাগরিকরাও। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন পরিবারের অবিবাহিত নারীদের খোঁজ
করে তালিকা তৈরি করছে তালেবানরা। প্রথমে পরিবারগুলোকে বলা হচ্ছে, অবিবাহিত নারীদের তাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। পরিবার রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নারীদের। ভয়ে বাড়ির গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকছেন তরুণীরা। বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেন না।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর তালেবান উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় বাহিনীর অভিযান শুরু হলে গা ঢাকা দেন তিনি। ২০১৩
সালে মারা যান মোল্লা ওমর। তার অবস্থান এতটাই গোপনীয় ছিল যে, দু’বছর পর তার ছেলে এই খবর নিশ্চিত করার আগে বাইরের দুনিয়ার কেউ জানতই না মারা গিয়েছেন তালেবান প্রধান।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আবার সামরিক উত্থান
ঘটেছে তালেবানের। ইতোমধ্যেই তারা দেশটির বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে। ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টিই এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।