South Asia’s first tunnel in Bangladesh এশিয়ার প্রথম টানেল : বাংলাদেশের সক্ষমতার আরও একধাপ এগুলো
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন, স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, ঢাকা থেকে সরাসরি পর্যটন নগরী
কক্সবাজারে রেলপরিষেবা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পর মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশকে
বিশ্বে নতুন ভাবে পরিচিত করে তুলবে
অনিরুদ্ধ
এশিয়ায় প্রথম টানেল বাংলাদেশের সক্ষমতার আরও একধাপ এগুলো। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন, স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল,
পদ্মাসেতু, ঢাকা থেকে সরাসরি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেলপরিষেবা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পর মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল
বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন ভাবে পরিচিত করে তুলবে। এই টানেল ব্যবহার করে কক্সবাজার যেতে এক ঘন্টা সাশ্রয় হবে।
চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জিডিপিতে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধু টানেলটি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এবং অপর প্রান্ত আনোয়ায় উদ্বোধন করেন।
পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্বোধনের পর প্রথম টানেলের টোল পরিশোধ করে অপর প্রান্তে যান শেখ হাসিনা। এই টানেলের মধ্য দিয়ে
বাংলাদেশের উন্নয়নের আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করলো। পারমাণবিক, সাবমেরিণ, স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল,
পদ্মাসেতুর পর বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন ভাবে পরিচিত করে তুলবে। এর মধ্য দিয়ে আরও একটি স্বপ্ন
পূরণ হলো বাংলাদেশের।
৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে। ফলে ভারী যানবাহন সহজেই
টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। টানেলের
দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের এপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে।
যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। শনিবার পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্বোধনের
পর নিজেই প্রথম টোল পরিশোধ করে অপর প্রান্তে পৌছান শেখ হাসিনা। এদিন পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে
একটি এবং টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন।সেখানে জনসমাবেশে
যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরেন হাসিনা।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।