ফাইল ছবি সংগ্রহ
‘প্রকল্পের আওতায় ১৯ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। আর এতে ব্যয় হয়েছে, ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় ভারত সরকার ২০২২-২৩ থেকে আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। ২০০৬ সাল থেকে এই মহৎ কাজের সূচনা করে ভারত সরকার। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ১৯ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। আর এতে ব্যয় হয়েছে, ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় ভারত সরকার ২০২২-২৩ থেকে আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে।
সময়টা ২০১৭ সাল। সে বছরের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যান। তখনই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তথা উত্তরাধিকারদের বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিলো।
যার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে ১ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। আর এই মহৎ কাজটির সূচনা হলো সোমবার থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের পরপরই। সময়ের পিঠ বেয়ে নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে আগামী পাঁচ বছরে আরও ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তির পরিমাণ ধার্য করা হয়েছিল।
২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকার তথা সন্তানদের জন্য ভারত সরকারের ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করেছিলো। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
স্মরণ করা যেতে পারে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তির পুরস্কার অব্যাহত ছিল। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ ও সরকারের সাথে বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের সরকার ও জনগণের চিরস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট ১,৪৯৭ জন শিক্ষার্থী (৫০১ জন উচ্চ মাধ্যমিক ও ৯৯৬ জন স্নাতক পর্যায়ের) এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে। ভারতীয় হাইকমিশন এসব তথ্য জানায়।