‘সম্প্রীতির পথে, সাফল্যের অগ্রযাত্রা, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র মতবিনিময় বৈঠক’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষকে জাগিয়ে তুলতে ‘সম্প্রীতির পথে, সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ গুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা সফর এবং সেখানে মতবিনিময় বৈঠক করে চলেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আগামীর কাছে পৌছানো যায়, সেই বিষয়ে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র এই পথ চলা। আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্ম এমনি এমনি হয়ে যায়নি। এর পেচনে রয়েছে হাজারো মা-বোনের সম্ভ্রম ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মবলিদান। রক্তের পথ বেয়ে আজকের উড্ডীয়মান লালসবুজে খচিত পতাকা। দেশের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকল্প নেই।
কর্মসূচির ধারাবহিকতায় মৌলভীবাজার ও পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে পৃথক মতবিনিময় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় বৈঠকের প্রধান অতিথি ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আমাদের রাষ্ট্রটা ছিল সাম্প্রদায়িক আর সমাজ ছিল অসম্প্রদায়িক। আর এখন আমাদের রাষ্ট্রটা অসম্প্রদায়িক কিন্তু সমাজটা হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক।
পীযূষ বাবু বলেন, মাত্র ৫ শতাংশ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর জন্য আমরা দেশটাকে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে পারছি না। সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যের বন্ধনীতে ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানি ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হুমায়ুন কবির, সম্প্রীতি বাংলাদেশ শ্রীমঙ্গলের সদস্য সচিব আবু সুলতান মোহাম্মদ ইদ্রিস লেদু, অধ্যাপক সৈয়দ মুয়ীজুর রহমান, অধ্যাপক লোকেশ চন্দ্র দেব, মিল্টন বড়ুয়া, ফিলা পাতমী, হাফেজ নূরুল ইসলাম, দিল আফরোজা বেগম, অশোক ব্যানার্জি, কাওছার ইকবাল, এস কে দাশ সুমন, এলমার কবীর ও ডা. রতিকান্ত রায় প্রমুখ।