Rohingya: মানবতার ঠিকানায় অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ১০:২১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২ ১৯২ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ : ছবি সংগ্রহ
কক্সবাজার আদালতে মামলার জট
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ‘মানবতার ডাকে’ সারা দিয়ে বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হিসাব মতে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বর্তমানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লাখের ওপরে। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাদের একটা অংশ গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে তারা।
জানা গেছে, দিন দিন রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতার খতিয়ান লম্বা হচ্ছে। আদালতে মামলা জট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা বিচারিক প্রশাসন। এটি প্রশমনে জেলা আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবীদের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা মাদক প্রচারকারী ধৃত :ছবি সংগ্রহ
চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল একটি জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম ছিলো, ‘হাজার কোটি টাকার অস্ত্র আনছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী’! এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা ‘নবী হোসেন’ দেশের জন্য হুমকি। তাকে ধরতে ৩৪ বিজিবির পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরের আরেক ত্রাস মাস্টার মুন্না। সে নবী হোসেন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। দেশে ৫০ ভাগের বেশি মাদক তাদের হাত ধরে ঢুকছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গেও নবী হোসেনদের সুসম্পর্ক রয়েছে’।
রোহিঙ্গা শিবির : ছবি সংগ্রহ
জানা গেছে, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হাত ধরে কক্সবাজারে জেলায় নানা অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে অস্বস্তিতে জেলাবাসী। রোহিঙ্গারা আশ্রয় শিবিরের বাইরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মাদক ও অস্ত্রের ঝন-ঝনানি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র তৎপরতা, মানব পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণের মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। কারণে-অকারণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে। ক্যাম্পে বসেই ইয়াবার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এ কারণে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এভাবে এসেই বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছিলো : ছবি সংগ্রহ
নিয়ে জেলা বিচারিক প্রশাসনও উদ্বিগ্ন। কক্সবাজার সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা, হত্যা, গুম, ধর্ষণ, মানব পাচার, ডাকাতি, অপহরণসহ নানাবিধ জঘন্যতম অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে’। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিসহ জনজীবনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দিন দিন তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা, গুম, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত মামলা হচ্ছে।