পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ছবি সংগ্রহ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
‘শাহবাজ তিন বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, ইমরান খানের পতনের পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসলেন নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ বিদেশে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন। একারণে ছোট ভাই শেহবাজ শরীফকে মুসলিম লিগ-এন এর প্রধান করা হয়’
১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া শাহবাজ শরীফ তিন বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। শাহবাজ প্রথমবার ১৯৯৭ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ ইমরান সরকারের আমলে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।
তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করার সময় নিজেকে খাদিম-ই-আলা বা প্রধান সেবক হিসেবে পরিচয় দিতেন শাহবাজ শরীফ। নিজেকে তার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে নাকি ভালো লাগে না।
তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাদের যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ইত্তেফাক গ্রুপ অব কোম্পানিজ। লাহোর চেম্বার অব কমার্সের ১৯৮৫ সালের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথম পাঞ্জাবের রাজ্যসভায় এমপি হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে শাহবাজ
সোমবার অধিবেশন শুরুর আগ মুহূর্তে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে যখন সংসদ অধিবেশন শুরু হয়, তখনই নির্বাচন বয়কট করতে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেছেন ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই। ফলে মুসলিম লিগ-এন এর প্রধান শেহবাজ শরীফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
সোমবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশির। কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কোরেশি ঘোষণা দেন পিটিআইয়ের সব সদস্য জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত সময় ছিলো ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই পতন ঘটে ইমরান খানের। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয় মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।