নিজ ফুচকা বানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি : ছবি সংগ্রহ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
নিজ হাতে ফুচকা বানিয়ে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য পর্যটকদের খাইয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে দার্জিলিংয়ে অবস্থান করছেন মমতা। মঙ্গলবার সকালে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এরিচমন্ড হিল থেকে চিড়িয়াখানার পথে বের হন মমতা। সেখানে ‘অঞ্জলি সেল্ফ হেল্প গ্রুপ’ নামে একটি ফুচকা স্টল চোখে পড়ে তার।
সোজা ফুচকার স্টলে ঢুকে পড়েন মমতা। এসময় স্টলের নারী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে জানান, ঘুরতে এসেছেন তিনি। জবাবে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘উনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। উনি আমাদের অতিথি, ওনাকে ফুচকা দিন। আমি ফুচকার পয়সা দিয়ে দিচ্ছি।’ এ সময় পাশে থাকা ছোট বাচ্চাসহ অন্যদেরও ফুচকা পরিবেশন করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক পর্যায়ে মমতা নিজেই ফুচকা বানাতে লেগে পড়েন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ফুচকা বানানো দেখে স্টলের চারপাশে ভিড় জমে যায়। ফুচকা বানানো শেষে কাগজের প্লেটে বাংলাদেশি নাগরিকসহ সকলকে ফুচকা পরিবেশন করেন মমতা ব্যানার্জী। এসময় পাশে উপস্থিত থাকা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছ থেকে ফুচকা বাবদ খরচ চেয়ে নেন মমতা।
এর আগে গত মার্চে দার্জিলিং সফরে গিয়ে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর নারীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সে সময় তাদের সাথে হাত লাগিয়ে মোমো তৈরি করতে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। পরে সেই মোমো সকলকে পরিবেশন করেছিলেন তিনি। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সফরে গিয়ে কখনো রান্না, কখনো চা তৈরি করতে দেখা গেছে মমতাকে।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের মল রোডে ‘ক্যাফে হাউস’ নামে একটি কফি হাউজ উদ্বোধন করেন মমতা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্য সচিব এইচ. কে দ্বিবেদী, গায়ক ও অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়, কফি হাউজের কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরী প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়, আর সাহেবের সাথে গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রীও।
বেসরকারি উদ্যোগে এই কফি হাউস তৈরি হলেও এর পরিকল্পনা মমতা ব্যানার্জির। মমতা বলেন, বাংলা কিংবা ভারত থেকে ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা’-মান্না দের বিখ্যাত গানের ছোঁয়া পেতে হলে এখানে একবার হলেও আসতে হবে।
পাহাড়ের সাথে নাম মিলিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে ক্যাফে হাউস। এই কফি হাউজের অন্যতম আকর্ষণ চা বা কফি পান করতে করতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।