Khulna-Mongla railway : বিজয়ের মাসেই হুইসেল বাজবে খুলনা-মোংলা রেলপথে

- আপডেট সময় : ০৪:১৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন
‘এই রেলপথটির অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল ও ভুটান। সমুদ্রপথে মোংলা বন্দরে পণ্য আসবে। সেই পণ্য পরিবাহিত হবে এই রেলপথ দিয়ে। ভারতের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দর থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রেন সরাসরি চলে যাবে, উত্তরপূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, আসামসহ অন্যান্য রাজ্যগুলোতে’
আমিনুল হক, ঢাকা
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে খুলনা-মংলা রেলপথ। ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত ৬৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণের কাজ জুলাই পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। রেলপথটি চালু হলে মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় জুড়ে যাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। বিশ্ব ঐতিহ্য এবং সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

রেলপথ পরিদর্শনকালে রূপসা রেল সেতু এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এই রেলপথের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, প্রকল্পটির মেয়াদ ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হচ্ছে। সর্বশেষ কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে আসা। মন্ত্রী খুলনা-মোংলা রেলপথের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল রূপসা রেল সেতু নির্মাণ। সেটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেতুতে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। রেল লাইনের বেশিরভাগ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজ বাকি। জোর কদমে চলছে সিগনালিংয়ের কাজ। সর্বোচ্চ মাস চারেকের মধ্যে তাও সম্পন্ন হবে। কয়েকটি স্টেশনের কাজ সম্পন্ন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের বিজয়ের মাসেই হুইসেল বাজবে খুলনা-মোংলা রেলপথে।
খুলনা-মোংলা রেলপথ
এই রেলপথটির অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল ও ভুটান। সমুদ্রপথে মোংলা বন্দরে পণ্য আসবে। সেই পণ্য পরিবাহিত হবে এই রেলপথ দিয়ে। ভারতের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দর থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রেন সরাসরি চলে যাবে, উত্তরপূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, আসামসহ অন্যান্য রাজ্যগুলোতে। রেলপথ মন্ত্রী বলেন, এই রেলপথটি খুলে দেবে অর্থনীতির দক্ষিণ দুয়ার। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা মোংলা দূরত্ব দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার।
এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কম দূরত্বে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ী মোংলায় ঝুঁকছেন। মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত হলে ট্রেনে করে কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যাতায়ত করা সম্ভব হবে। কাজেই তখন থেকেই মোংলা-খুলনা রেল লাইনটির সুবিধা মিলবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রূপসা রেল সেতু
এসময় সম্প্রতি মিরসরাইয়ে রেলক্রসিংয়ে দূর্গটনা প্রসঙ্গও ওঠে আসে। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেন তার নিজস্ব লাইনে চলে। পৃথিবীজুড়ে একটাই নিয়ম। কেউ এসে রেলকে ধাক্কা দিলে, সেই দায়ভারতো লেওয়ে কতৃপক্ষের নয়। এনিয়ে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় সাধন করাটাও জরুরী বলে মনে করেন রেলপথ মন্ত্রী। এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার , পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারসহ প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টরা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।