ফাইল ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসছে ৩০ মে দিল্লিতে সপ্তমবারের মতো জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন (জেসিসি) বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারত-বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে আসামের গৌহাটিতে ২৮ ও ২৯ মে নদী কনফারেন্সে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। নদী কনফারেন্সে যোগ দিতে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। দুই মন্ত্রীর মধ্যে আসামে আলোচনা হবে। নদী কনফারেন্স শেষে আসাম থেকেই ২৯ মে দিল্লি উড়ে যাবার কথা রয়েছে ড. মোমেনের। ৩০ মে দিল্লীতে পর দিন ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে ড. মোমেনের।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শীর্ষ পর্যায়ের সফরের আগে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপন করেছিলেন বাংলাদেশের পি কে হালদার নামক ব্যক্তি। শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে পি কে’কে গ্রেপ্তার করে। আটকের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তার প্রাসাদোপম বাড়ি ও অঢেল সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।
পি কে হালদারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পি কে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও জেসিসিতে আলোচনা হবার আভাস দিয়েছে বিদেমন্ত্রক। জেসিসির বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার বিকালে বিদেশন্ত্রকে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বলেন, আইনি প্রক্রিয়া কারণে গ্রেফতার হওয়া পি কে হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে সময় লাগতে পারে। পি কে সম্পর্কে বিদেশসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এটি দুই দেশের অপরাধীদের মোকাবিলার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তাসহ নানা ধরনের কাঠামো রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তথ্য দিয়েছে। ভারতীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা তথ্য যাচাইয়ের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।