ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাবে বিএজেপি: রফিকুল আমীন নিবন্ধন পেতে রোববার ইসিতে আবেদন করবে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি যোগব্যায়াম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার স্থায়ী বন্ধন ইরানের সমর্থনে তেহরান-বাগদাদ-বৈরুতের রাজপথে মানবঢল ইরানে হামলা: ইসরায়েলকে দিয়ে নোংরা কাজ করাচ্ছেন ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার মব ভায়োলেন্স বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি সেনাবাহিনীর  শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস কবিতা: বর্ষা ঢুকেছে দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চলানো নিয়ে ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক ইউনূস-তারেক লন্ডন বৈঠক, রাজনীতে সুবাতাস

hundi : হুন্ডির কারবারে মোবাইল ব্যাংকিং, মাসে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘প্রতি মাসে লেনদেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, তিনটি গ্রুপে চলতো অনৈতিক কারবার’

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) পন্থা অবলম্বন করে প্রতিমাসে হুণ্ডির মাধ্যমে মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন করছে। তিনটি গ্রুপে চলতো এমনি অনৈতিক কারবার। এমন চক্রের ৬ সদস্যকে এখন সিআইডির জালে।
সিআইডি সাংবাদিক বৈঠক করে বলছে, চক্রের ৬সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।

মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ‘২ হাজার এজেন্ট সিম’ ব্যবহার করে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন করার তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত সোমবার রাতে কুমিল্লা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে হুন্ডিচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোনসেট, ১৮টি সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ ও একটি ট্যাব জব্দ করে সিআইডি।

সংস ্থা প্রধান জানান, ‘সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বৈদেশিক ওই মুদ্রার সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের মাধ্যমে অর্থপাচারে জড়িত। চক্রটি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করছে।

প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে এবং দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদের দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীরা দেশীয় মুদ্রায় সমপরিমাণ অর্থ এমএফএস এজেন্টকে দেন।

আর তৃতীয় গ্রুপ এজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। চক্রগুলো প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে এমএফএস ব্যবহার করে ক্যাশ-ইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির ব্যবসা করছে।

সিআইডি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন কুমিল্লার লাকসামে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউস জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্ট সিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন করছে। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিমে নজরদারি করে গত ৬ মাসে তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এরপর এ রকম আরো ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পায় সিআইডি। তাদের সম্পর্কেও হুন্ডির ব্যবসার তথ্য রয়েছে সংস্থাটির হাতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

hundi : হুন্ডির কারবারে মোবাইল ব্যাংকিং, মাসে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৯:৫০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

‘প্রতি মাসে লেনদেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, তিনটি গ্রুপে চলতো অনৈতিক কারবার’

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) পন্থা অবলম্বন করে প্রতিমাসে হুণ্ডির মাধ্যমে মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন করছে। তিনটি গ্রুপে চলতো এমনি অনৈতিক কারবার। এমন চক্রের ৬ সদস্যকে এখন সিআইডির জালে।
সিআইডি সাংবাদিক বৈঠক করে বলছে, চক্রের ৬সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।

মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ‘২ হাজার এজেন্ট সিম’ ব্যবহার করে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন করার তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত সোমবার রাতে কুমিল্লা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে হুন্ডিচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোনসেট, ১৮টি সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ ও একটি ট্যাব জব্দ করে সিআইডি।

সংস ্থা প্রধান জানান, ‘সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বৈদেশিক ওই মুদ্রার সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের মাধ্যমে অর্থপাচারে জড়িত। চক্রটি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করছে।

প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে এবং দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদের দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীরা দেশীয় মুদ্রায় সমপরিমাণ অর্থ এমএফএস এজেন্টকে দেন।

আর তৃতীয় গ্রুপ এজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। চক্রগুলো প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে এমএফএস ব্যবহার করে ক্যাশ-ইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির ব্যবসা করছে।

সিআইডি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন কুমিল্লার লাকসামে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউস জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্ট সিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন করছে। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিমে নজরদারি করে গত ৬ মাসে তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এরপর এ রকম আরো ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পায় সিআইডি। তাদের সম্পর্কেও হুন্ডির ব্যবসার তথ্য রয়েছে সংস্থাটির হাতে।