ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২৮ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

first train arrived at Cox’s Bazar : প্রথম বারের মতো ট্রেন এলো কক্সবাজারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগের উদ্বোধন করবেন : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনিরুদ্ধ

প্রথম বারের মতো ট্রেন পৌছালো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। কক্সবাজারের মানুষের এই স্বপ্ন পূরণে মানবদেবতা শেখ হাসিনা।

তাঁর উদ্যোগে একের পর এক অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন পাখনা মেলছে বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার

প্রথম টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ

ইত্যাদি উন্নয়নমূলক মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরে।

উন্নয়ন তালিকায় সর্বশেষ সংযোযন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ। এই কক্সবাজারের মানুষ কোন দিন ভাবতে পারেনি, তারা

ট্রেনে করে ঢাকা আসবেন। তাদের সেই অপ্রত্যাশিত স্বপ্নপূরণই করলেন, শেখ হাসিনা।

রবিবার ৮ বগির একটি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে সারাপথ পর্যব্ষেণ করতে করতে কক্সবাজারে পৌঁছে। তখন কক্সবাজারের সর্বস্তরের

মানুষ হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে। তারা জড়ো হয় কক্সবাজারের ঝিনুক আইকনিক রেল স্টেশনে। অনেকে ট্রেনটি একবার ছুঁয়ে দেখেন।

আবেগে কারো কারো চোখে জল চলে আসে। তারা শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে প্রার্থনা করেন।

প্রথমবারের ট্রেন পৌছালো কক্সবাজার, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছাস : ছবি সংগ্রহ
প্রথমবারের ট্রেন পৌছালো কক্সবাজার, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছাস : ছবি সংগ্রহ

শেষ সময়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন এবং পথের ত্রুটি যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে

আসে ট্রেনটি। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়।

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শনার্থীরা। এরআগে সকাল ৯টায় আটটি

বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে। কক্সবাজারে আসা ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল

ম্যানেজার ও রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  তারা কক্সবাজারে অবস্থান করে ৬ নভেম্বর রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন

এবং ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০

কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু ২০১৮ সালে। ২০২২ সালের ৩০ জুন এর কাজ শেষ হবার কথা ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ

বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার  ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

first train arrived at Cox’s Bazar : প্রথম বারের মতো ট্রেন এলো কক্সবাজারে

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

অনিরুদ্ধ

প্রথম বারের মতো ট্রেন পৌছালো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। কক্সবাজারের মানুষের এই স্বপ্ন পূরণে মানবদেবতা শেখ হাসিনা।

তাঁর উদ্যোগে একের পর এক অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন পাখনা মেলছে বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার

প্রথম টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ

ইত্যাদি উন্নয়নমূলক মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরে।

উন্নয়ন তালিকায় সর্বশেষ সংযোযন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ। এই কক্সবাজারের মানুষ কোন দিন ভাবতে পারেনি, তারা

ট্রেনে করে ঢাকা আসবেন। তাদের সেই অপ্রত্যাশিত স্বপ্নপূরণই করলেন, শেখ হাসিনা।

রবিবার ৮ বগির একটি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে সারাপথ পর্যব্ষেণ করতে করতে কক্সবাজারে পৌঁছে। তখন কক্সবাজারের সর্বস্তরের

মানুষ হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে। তারা জড়ো হয় কক্সবাজারের ঝিনুক আইকনিক রেল স্টেশনে। অনেকে ট্রেনটি একবার ছুঁয়ে দেখেন।

আবেগে কারো কারো চোখে জল চলে আসে। তারা শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে প্রার্থনা করেন।

প্রথমবারের ট্রেন পৌছালো কক্সবাজার, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছাস : ছবি সংগ্রহ
প্রথমবারের ট্রেন পৌছালো কক্সবাজার, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছাস : ছবি সংগ্রহ

শেষ সময়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন এবং পথের ত্রুটি যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে

আসে ট্রেনটি। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়।

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শনার্থীরা। এরআগে সকাল ৯টায় আটটি

বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে। কক্সবাজারে আসা ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল

ম্যানেজার ও রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  তারা কক্সবাজারে অবস্থান করে ৬ নভেম্বর রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন

এবং ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০

কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু ২০১৮ সালে। ২০২২ সালের ৩০ জুন এর কাজ শেষ হবার কথা ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ

বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার  ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।