ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Durgotsava :  সুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ দোলন চাঁপার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২ ৯০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ করেন সোনালী কাজী

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

ষষ্ঠীর রাত থেকেই বৃষ্টি। মহাসপ্তমীও বৃষ্টিভেজা। মহাঅষ্টমীর সকাল থেকেই আকাশের গোমড়া মুখ। ঝির ঝিরে দক্ষিণে হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে হাল্কা বৃষ্টি। রুটিন মাফিক কম্পিউটারে বসে প্রথমে কাজী সাব্যসাচীর কণ্ঠে বিদ্রোহী এবং পরে মানুষ কবিতার কিছু অংশ শুনে লিখতে বসলাম। সোনালী কাজীর পাঠানো তথ্য ছবি নিয়ে লিখতে হবে।

আকাশে-বাতাসে শারদ সুর। দুই বছর পর নব আনন্দে জেগেছে মানুষ। শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। এটিকে সনাতনধর্মাবলি মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বলা হয়ে থাকে। তবে, উৎসব সকল মানুষের এমন দাবিই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। একটি সাংস্কৃতিক মহাসড়কে সবাই হাটবে, গাইবে, গলাগলি করে চলাচল করবে এবং আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠবে এটাই উৎসব।

উৎসব উপলক্ষে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের পাশে দাড়ানোর সামাজিক রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরে। বিত্তবানদের সহযোগিতায় মানুষ উৎসবের আয়োজন করতে পারবে, এমন চিন্তা থেকে সকল ধর্মের মানুষ সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসেন।

দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন’র পক্ষে শারদ উৎসব শুরুর দু’দিন আগেই পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ করেন সোনালী কাজী। তিনি জানালেন, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই। আমরা মানুষে মানুষে সম্মিলিতভাবে বাচতে চাই। আজ দোলন চাঁপা তার সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোরও সুন্দরভাবে বেচে থাকার অধিকার রয়েছে।

সমগ্র বিশ্ব যখন হিংসায় উন্মত্ত, পৃথিবীর নরম শরীর থেকে যখন রক্ত ঝরছে, তখন বিদ্রোহী কবি বিশ্বকে শুনিয়ে ছিলেন মানবতার বাণী-

গাহি সাম্যের গান-
‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Durgotsava :  সুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ দোলন চাঁপার

আপডেট সময় : ১০:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ করেন সোনালী কাজী

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

ষষ্ঠীর রাত থেকেই বৃষ্টি। মহাসপ্তমীও বৃষ্টিভেজা। মহাঅষ্টমীর সকাল থেকেই আকাশের গোমড়া মুখ। ঝির ঝিরে দক্ষিণে হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে হাল্কা বৃষ্টি। রুটিন মাফিক কম্পিউটারে বসে প্রথমে কাজী সাব্যসাচীর কণ্ঠে বিদ্রোহী এবং পরে মানুষ কবিতার কিছু অংশ শুনে লিখতে বসলাম। সোনালী কাজীর পাঠানো তথ্য ছবি নিয়ে লিখতে হবে।

আকাশে-বাতাসে শারদ সুর। দুই বছর পর নব আনন্দে জেগেছে মানুষ। শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। এটিকে সনাতনধর্মাবলি মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বলা হয়ে থাকে। তবে, উৎসব সকল মানুষের এমন দাবিই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। একটি সাংস্কৃতিক মহাসড়কে সবাই হাটবে, গাইবে, গলাগলি করে চলাচল করবে এবং আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠবে এটাই উৎসব।

উৎসব উপলক্ষে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের পাশে দাড়ানোর সামাজিক রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরে। বিত্তবানদের সহযোগিতায় মানুষ উৎসবের আয়োজন করতে পারবে, এমন চিন্তা থেকে সকল ধর্মের মানুষ সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসেন।

দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন’র পক্ষে শারদ উৎসব শুরুর দু’দিন আগেই পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্য-বস্ত্র বিতরণ করেন সোনালী কাজী। তিনি জানালেন, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই। আমরা মানুষে মানুষে সম্মিলিতভাবে বাচতে চাই। আজ দোলন চাঁপা তার সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোরও সুন্দরভাবে বেচে থাকার অধিকার রয়েছে।

সমগ্র বিশ্ব যখন হিংসায় উন্মত্ত, পৃথিবীর নরম শরীর থেকে যখন রক্ত ঝরছে, তখন বিদ্রোহী কবি বিশ্বকে শুনিয়ে ছিলেন মানবতার বাণী-

গাহি সাম্যের গান-
‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি’