বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন: ফাইল ছবি
‘যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ড. মোমেন আমার দেশে কথা বলার অধিকার হরণ হয়নি, তোমার দেশে কথা বলার অধিকার হরণ হয়’
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের কোথাও কথা বলার অধিকার হরণ হয়নি।
প্রায় তিন সপ্তাহ বিদেশে অবস্থানের পর ২০ এপ্রিল দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ড. মোমেন।
বিদেশমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট আইনের তুলনায় বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বেশ নমনীয়। আমরা আইন-কানুন করি নিজেদের বুদ্ধিতে। যদি কোথাও দুর্বলতা থাকে, আমরা সেটি নিয়ে তোমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তারপর দেখা যাবে কোথায় দুর্বলতা।
ড. মোমেন বলেন, মানুষের স্বাধীনতা অবশ্যই রেগুলেটেড তথা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। কারণ রেগুলেশন না থাকলে নৈরাজ্য হবে। আমি তাদের বলেছি, আমাদের মানবাধিকারে অগ্রাধিকার পায় কীভাবে দুই বেলা মানুষকে খাবার দিতে পারি। খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে পারি।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বেশ স্বচ্ছ। বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশে ৭২ শতাংশের নিচে কখনো ভোট পরে না। বাংলাদেশে নির্বাচন একটি উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জোর করে মানুষ আনতে হয় না। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানো ঠিক হবে না।
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সিনেমা হলে গিয়ে বোমা, বোমা বলতে পারবো না। যদি বলি তাহলে তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। তোমার দেশে অনুমতি ছাড়া কোনও আন্দোলন করা সম্ভব নয়। তুমি ঠিক করো যে কোন এলাকায় থাকতে হবে এবং এর বাইরে যাওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র পত্রিকা দেখে তথ্য সংগ্রহ করে এবং এনজিওরা তাদের তথ্য সরবরাহ করে। আরেক দল তাদের বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। সেজন্য খারাপ চিত্র দিলে তারা খুব খুশি হয়।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের অনেক বাঙালি আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে চাকরি করে। যারা প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেন। ওনারা খালি খোঁজেন কোথায় আমাদের দোষ। দুনিয়ার সব দেশে অসুবিধা হয়, কিন্তু দেখবেন দোষ পড়ে শুধু বাংলাদেশের।