নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। নিহতর শরীরে ছড়া গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। নিহতের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল পৌনে চারটায় দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে আহদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরিকে বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে সামনে রেখে তৃতীয় দিনের মতো নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানের সড়কের পুরোটা জুড়ে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মঞ্চ হিসাবে দুটো ট্রাক। তাতে ৮টি মাইক লাগানো। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্দ্রণে আনতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ না হলেও নয়া পল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। পরে তাদেরকে উঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা। পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।