ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Cyclone Sitrang :  সিত্রাংয়ে মৃত্যু,  বিদ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রাহক, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চিত্র ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের বলি ১৮জন। বিদ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রহক এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ৯জন শ্রমিকসহ বালু তোলার সময় একটি ড্রেজার ডুবে গিয়ে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গাছ ও ঘর চাপায় কুমিল্লা, ভোলা, ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন স্থানে ১০জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে বুধবার নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

ভোলার নিম্নাঞ্চল এখন জলমগ্ন

চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে জলাবদ্ধতার কারণে বিপুল পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে। সিত্রাংয়ে ৪১৯টি ইউনিয়ন এবং আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর আর ১ হাজার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রাথমিক এই ক্ষয়ক্ষতির এসব তথ্য জানান। সিত্রাংয়ের কবল থেকে রক্ষায় ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে আশ্রয় নেওয়া লোকজন ভোররাত থেকে শুরু করে সকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যায়।

বিরিশালের বাকেরগঞ্জের একটি রাস্তায় কোমড় জল ভেঙ্গে শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন এক মা

মঙ্গলবার পর্যন্ত উপকূল অঞ্চলের বহু জায়গায় বাড়িঘরে জল জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকায় প্রায় অর্ধশত এলাকায় গাছ ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোর রাত থেকে দমকলবাহিনীসহ প্রশাসনের লোকজন উদ্ধথার উদ্ধার কাজ চালায়। উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া পর চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকার একটা বড় অংশ জুড়ে জলবদ্ধতার কারণে অনেক বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাট জলমগ্ন। সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্টারনেট সেবা।

আশ্রয় কেন্দ্র

সোমবার সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দু’এক জায়গায় নেটওয়ার্ক ফিরে আসলেও খুবই দুর্বল হওয়ায় কাজের বিঘ্ন ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারসেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কোন কোন স্থানে এখনও জলাবদ্ধা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রের খবর, সিত্রাংয়ে ঢাকাসহ দেশের ৩২৯টি জায়গায় ভেঙ্গে পড়া গাছ তারা অপসারণ করেছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙ্গে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পড়ে আগুন লেগে যাবার ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Cyclone Sitrang :  সিত্রাংয়ে মৃত্যু,  বিদ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রাহক, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৬:১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চিত্র ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের বলি ১৮জন। বিদ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রহক এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ৯জন শ্রমিকসহ বালু তোলার সময় একটি ড্রেজার ডুবে গিয়ে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গাছ ও ঘর চাপায় কুমিল্লা, ভোলা, ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন স্থানে ১০জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে বুধবার নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

ভোলার নিম্নাঞ্চল এখন জলমগ্ন

চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে জলাবদ্ধতার কারণে বিপুল পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে। সিত্রাংয়ে ৪১৯টি ইউনিয়ন এবং আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর আর ১ হাজার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রাথমিক এই ক্ষয়ক্ষতির এসব তথ্য জানান। সিত্রাংয়ের কবল থেকে রক্ষায় ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে আশ্রয় নেওয়া লোকজন ভোররাত থেকে শুরু করে সকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যায়।

বিরিশালের বাকেরগঞ্জের একটি রাস্তায় কোমড় জল ভেঙ্গে শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন এক মা

মঙ্গলবার পর্যন্ত উপকূল অঞ্চলের বহু জায়গায় বাড়িঘরে জল জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকায় প্রায় অর্ধশত এলাকায় গাছ ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোর রাত থেকে দমকলবাহিনীসহ প্রশাসনের লোকজন উদ্ধথার উদ্ধার কাজ চালায়। উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া পর চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকার একটা বড় অংশ জুড়ে জলবদ্ধতার কারণে অনেক বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাট জলমগ্ন। সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্টারনেট সেবা।

আশ্রয় কেন্দ্র

সোমবার সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দু’এক জায়গায় নেটওয়ার্ক ফিরে আসলেও খুবই দুর্বল হওয়ায় কাজের বিঘ্ন ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারসেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কোন কোন স্থানে এখনও জলাবদ্ধা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রের খবর, সিত্রাংয়ে ঢাকাসহ দেশের ৩২৯টি জায়গায় ভেঙ্গে পড়া গাছ তারা অপসারণ করেছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙ্গে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পড়ে আগুন লেগে যাবার ঘটনা ঘটে।