Corona virus : করোনা মহামারি ‘চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা’
- আপডেট সময় : ১০:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
‘করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সতর্ক স্বাস্থ্য বিভাগ, ভারতসহ বেশ কিছু দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, উর্ধমুখী প্রবণতার দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বাংলাদেশে প্রবেশমুখে আন্তর্জাতিক বন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিশ্চিত করা করতে বলা হয়েছে’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর নানা রূপে সংক্রমণ ঘটায় ভাইরাসটি। যার মধ্যে ডেল্টা প্রজাতি ছিলো ভয়ঙ্কর। এই ভেরিয়েন্টে অধিক মানুষ প্রাণ হারানোর তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানিরা। আর সর্বশেষ করোনার নতুন প্রজাতি অমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে দুর্বল হয় করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নতুন করে ভাইরাসটির প্রদুর্ভাব বেড়ে গিয়েছে।
বিশ্বের ২৪টি দেশে করোনা সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০ এপ্রিলের সর্বশেষ বৈশ্বিক হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, চীনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ।
করোনার চতুর্থ ঢেউ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ভারতে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশে ঝুঁকি বাড়ে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ ঢেউ সম্পর্কে একথা বলেন।
অপর দিকে আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা মুশতাক হোসেনের মতে মহামারিতে তিন থেকে ছয় মাসের ব্যবধানে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হলে নতুন ঢেউয়ের কাছাকাছি বাংলাদেশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরে বা মে মাসের শেষের দিকে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
করোনার থাবায় অর্থনেতিক ভাবে বিপর্যস্ত বিশ্ব যখন সংকট কাটি সোজা হয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে, তখনই বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব উর্ধমুখি। সৌদি আরবে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে যদিও ভারতের কথা নেই, তারপরও কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখীর কথা বলছে সংবদমাধ্যম। ভারতেও নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদী।
সকল রাজ্যকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন করোনাকে এখন হালকা ভাবে নেওয়ার সময় আসেনি। দেশের হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখার কথা বলেন মোদি। ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দিলেও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশে উচ্চ মাত্রায় রয়েছে সংক্রমণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশের প্রশাসনও। এবিষয়ে করণীয় কি তা নিয়ে গত সপ্তাহে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির কাছে মতামত জানতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২৪ এপ্রিল বৈঠকের পর সরকারকে এখন থেকেই সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
সামনে ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়ত বেড়ে যাবে। ভিড় বাড়বে মার্কেট, বিপনী-বিতানে। কমিটির পরামর্শ যেসব দেশে উচ্চমাত্রার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক বন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ঈদ বাজার ও ঘরমুখী মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা এবং ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং জোরদার করা ইত্যাদি। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা।