ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
দেশের মধ্যে কয়লার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কয়লা উত্তোলনে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ভারত। এ সময় উত্তোলন হয়েছে ৩৮ কোটি ২০ লাখ টন কয়লা। যেখানে আগের বছরের একই সময় ৩১ কোটি ৫৭ লাখ টন উত্তোলন হয়েছিল। এমন তথ্যই জানাচ্ছে হেলেনিক শিপিং নিউজ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন সকল বাণিজ্যিক খনির কার্যক্রম শুরু করাও এক্ষেত্রে বেশ কাজে এসেছে বলে উঠে এসেছে কেয়ারএজ পরিচালিত গবেষণায়। কয়লার উত্তোলন বাড়ানো এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত দুই বছরে ভারত সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করে। যার মধ্যে দ্রুত কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রণোদনা দেয়া, ২০২০ সালে চালু করা নতুন একটি কয়লা উত্তোলন স্কিম এবং কোল ইন্ডিয়ার পরিত্যক্ত কয়লা খনিগুলোর নিলাম সম্পন্ন করা।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোট উত্তোলিত কয়লার ৭৮ শতাংশই এসেছে কোল ইন্ডিয়া থেকে। আগের বছরের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির উত্তোলন ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। কেয়ারএজের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে কয়লার মোট উত্তোলন বেড়ে ৮৮ কোটি ২০ লাখ টনে দাঁড়াবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯০ কোটি টন উত্তোলনের।
জ্বালানি খাতে কয়লা সরবরাহ এ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় কয়লা সরবরাহ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৬৮ লাখ টন। বিদ্যুৎ খাত এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ খাতেও যৌথভাবে সরবরাহ হয়েছে ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টন কয়লা।
কেয়ারএজের গবেষণা তথ্যে আরও বলছে, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসে প্রবল গ্রীষ্মকাল থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে বিদ্যুৎ খাতকে সরবরাহ বাড়াতে হয়। এরপর বর্ষাকাল আসায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে চাহিদা কিছুটা কমে আসে। ভারতে কয়লা আমদানিও ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে আগস্টে ১১ কোটি ৫৯ লাখ টন বেড়েছে, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ কোটি ২৫ লাখ টন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সাউথ আফ্রিকান তাপীয় কয়লার দাম ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে বাড়তির দিকে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকটে এ বছরের এপ্রিলে দাম টন প্রতি ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। জুলাইয়ে তা গিয়ে দাঁড়ায় টন প্রতি ৩২৯ ডলারে। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কয়লার দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।