ছবি বিদেশমন্ত্রক
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর পরাশর্মও নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বিদেশমন্ত্রক।
সেখানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন পদ্ধতি এবং সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রবিবার কূটনীতিকদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বছরের শুরুতে কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বিদেশ মন্ত্রক।
ব্রিফিংয়ে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বোঝার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আইনের অপব্যবহার ও তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী একটি টাইম ফ্রেমের মাধ্যমে শ্রমখাত সংস্কারের চলমান উদ্যোগের কথাও জানান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন বিষয়টি স্পষ্ট করেন এবং বিশ্বের উন্নত দেশেও যা হয়ে থাকে।
ব্রিফিংকালে ইসি গঠন নিয়ে একটি আইন করার বিষয়ে পরামর্শ আসে কূটনীতিকদের তরফে। কূটনীতিকরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, স্থানীয় নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী ইসি গঠনের পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের ব্রিফ করেন।
ব্রিফিংয়ে প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক যোগ দেন। এসময় প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলডিসি উত্তরণ, ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইত্যাদি প্রশ্ন ওঠে আসে।