‘চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বিত টহল, উভয় বাহিনীর পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ আয়োজন নিয়েও সবিস্তার আলোচনা হয়’
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
সীমান্তে হত্যা শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, উভয় দেশের নাগরিকদের অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ, অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সীমান্তে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্মকাণ্ড পরিচালনা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ এর সমন্বিত টহল বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়গুলোকে আলোচনায় এনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) পর্যায়ের সমন্বয় সম্মেলন।
বাংলাদেশের খুলনায় তিনদিনের সমন্বয় সম্মেলন ছিলো অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। উভয় বাহিনীর পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ আয়োজন নিয়েও সবিস্তার আলোচনা হয়।
এটি বিজিবি যশোর ও রংপুর রিজিয়নের কমান্ডার এবং বিএসএফ এর সাইথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গোহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি পর্যায়ে ১৭তম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এনিয়ে খুলনায় সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ে যশোর বিজিবি’র দক্ষিণপশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ওমর সাদী এসব তথ্য জানান।
বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন যশোরের কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ওমর সাদীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ নেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কামান্ডর এবং উভয় রিজিয়নের সেক্টর কামান্ডারগণ, বিজিবি সদর দপ্তরের প্রতিনিধি, বিদেশমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ভূমি, রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি ডা. অতুল ফুলজেলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যেরে ভারতীয় প্রতনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ এর নর্থবেঙ্গল ও গোহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি, নোডাল অফিসার, সাইথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এবং ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিগণ সমন্বয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।