ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Bangladeshi : মালয়েশিয়ায় কন্টেইনারে পাওয়া কিশোর বাংলাদেশি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ার কন্টেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি কিশোর রাতুল ছবি: সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 অনলাইন ডেস্ক

মালয়েশিয়ার কেনাং বন্দরে খালি কন্টেইনারে পাওয়া কিশোর বাংলাদেশি রাতুল। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামে। বাবার ফারুক মিয়া। রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৫)। তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে রোহিঙ্গা শিশু ধারণা করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি কন্টেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কন্টেইনার খুলে রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি কিশোরকে উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।

রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া জানান, প্রায় ২ মাস আগে বাসা থেকে বের হয় রাতুল। এর পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। অসুস্থ সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। সন্তানকে খোঁজে পেতে তার বাবা-মা সব আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোঁজ খবর নেয়, কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মিলে না রাতুলের। ছেলে হারানোর বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেননি।

ফারুক মিয়া জানান, রাতুল মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হতো। কয়েকদিন পর আবার নিজেই বাড়ি ফিরে আসতো। আবারও নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসবে এমন আশায় তার বাবা ফারুক হোসেন থানায় জিডি করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Bangladeshi : মালয়েশিয়ায় কন্টেইনারে পাওয়া কিশোর বাংলাদেশি 

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

 অনলাইন ডেস্ক

মালয়েশিয়ার কেনাং বন্দরে খালি কন্টেইনারে পাওয়া কিশোর বাংলাদেশি রাতুল। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামে। বাবার ফারুক মিয়া। রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৫)। তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে রোহিঙ্গা শিশু ধারণা করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি কন্টেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কন্টেইনার খুলে রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি কিশোরকে উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।

রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া জানান, প্রায় ২ মাস আগে বাসা থেকে বের হয় রাতুল। এর পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। অসুস্থ সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। সন্তানকে খোঁজে পেতে তার বাবা-মা সব আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোঁজ খবর নেয়, কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মিলে না রাতুলের। ছেলে হারানোর বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেননি।

ফারুক মিয়া জানান, রাতুল মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হতো। কয়েকদিন পর আবার নিজেই বাড়ি ফিরে আসতো। আবারও নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসবে এমন আশায় তার বাবা ফারুক হোসেন থানায় জিডি করেননি।