ছবি বিদেশমন্ত্রকের সৌজনৌ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কাহিনি নিয়ে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করছেন ভারতের বিখ্যাত নির্মাতা গৌতম ঘোষ। এটি আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবার কথা। প্রামাণ্যচিত্রে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ-ভারত চ্যাপ্টারের সহায়তায় এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় শুটিংয়ের করতে গৌতম ঘোষ এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকে সাংবাদিক বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। জানানো হয়, গেল ১৯ মার্চ এই তথ্যচিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে স্বাক্ষরিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি কলকাতা এবং বাংলাদেশে শুটিং হবে। আসছে জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবার কথা।
গত ৪ এপ্রিল তারিখ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার মওলানা আজাদ কলেজ (যেটি পূর্বে ইসলামিয়া কলেজ নামে পরিচিত ছিল) সেখানে এই তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেছেন এবং সে সময় তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি সেসময় সরকারী বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। যেটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত।
কলকাতার সাথে বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য স্মৃতি জড়িত যার বেশ কিছু অংশ আমরা বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে জানতে পারি। বঙ্গবন্ধু কখনো চিকিৎসার প্রয়োজনে, কখনো অধ্যয়নের জন্য, কখনও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বহুবার কলকাতায় যাতায়ন করেছেন। যে অভিজ্ঞতা তাঁকে একজন অসামান্য রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
কাজেই কলকাতা কেন্দ্রিক বঙ্গবন্ধুর এই অজানা বা কমজানা বিষয়গুলোকে জনসম্মুখে নিয়ে আসার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। কারণ কলকাতা পর্বকে বাদ দিলে বঙ্গবন্ধুকে পূর্ণাঙ্গরূপে বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে অপূর্ণতা থেকে যাবে। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন মুজিববর্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এরকম মহতী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গৌতম ঘোষ বলেন, এটি আমার ব্যক্তিগত আবেগের জায়গা। তিনি বলেন, আমি যখন ২২ বছরের যুবক, তখন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন এবং আমরা সবাই তখন তার ভাষণ শুনতে গিয়েছিলাম।
চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ আগামী এক সপ্তাহ ঢাকা এবং টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এই তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় শুটিং-এর কাজ সম্পাদন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথেও তার সাক্ষাৎকার রয়েছে। শাহরিয়ার আলম আশা করেন, বাংলাদেশের শুটিং পর্ব শেষ করে এবং কলকাতার বাকী কাজ শেষে আগামী জুনের মধ্যেই কলকাতায় বঙ্গবন্ধু তথ্যচিত্রটি রিলিজ করা সম্ভব হবো।