ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের খুলনার বটিয়াঘাটা থানার বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ লুটপাট এবং ৮জনকে হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ রাজাকারকে মৃত্যু দিয়েছে আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রাজাকার আমজাদ হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের বিনোদ মণ্ডল, ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের হরিদাস মজুমদার, ২৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজ এবং ২১ অক্টোবর বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনসহ মোট ৮ ব্যক্তিকে আটকের পর অমানবিক নির্যাতন ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজাকাররা ৬টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, রাজাকার আমজাদ হোসেন হাওলাদার (৭৫), সহর আলী সরদার (৬৫), আতিয়ার রহমান শেখ (৭০), মোতাসিন বিল্লাহ (৮০), কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬) ও নজরুল ইসলাক।
এদের মধ্যে নজরুল ইসলা পলাতক। এর আগে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম, সাবেক জাপা নেতা সৈয়দ মো. কায়সার, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন, জাপার সাবেক সাংসদ আবদুল জব্বার, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, রাজাকার মাহিদুর রহমান এবং জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনালের কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কর্যকর হয়েছে।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে ৪০ বছর পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার প্রথম কার্যকর হয় মৃত্যুদণ্ড।
২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল মাসে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।