ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিত্রশিল্পী নিলীমার ইউরোপ জয়, ‘গ্যালারী অনিল অ্যাওয়ার্ড’ প্রথম কোন বাঙালি নারী শিল্পীর

উদয়ন চৌধুরী, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১ ১২১২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

“একটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব ছিলো। মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিলো। আজ প্রকৃতি মানুষের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ চাইলে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারে, না চাইলে ধ্বংস করতে পারে”

বাঙলার লোকজ সাংস্কৃতিক ভান্ডার দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল। ভাটির মানুষের লোকজসংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে চলেছে হাজারো বছর। দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ, বর্ষায় অথৈজল রাশি। অথৈজলে নৌকা ভাসিয়ে জারি-সারি আর পালাগানে উদার প্রকৃতিকে আহ্বান।

এটিই এলাকার রীতি। সেই নেত্রকোনার প্রকৃতিকে সঙ্গী করেই বেড়ে নিলীমার। প্রকৃতিকে ভালোবাসা আজীবন লালিত স্বপ্ন। প্রকৃতির পাতায় পাতায় ভালোবাসার ছাপ। প্রকৃতিকে ভালো না বাসলে, মানুষ বা তার সৃষ্টি তথা সমাজকে ভালোবাসা যায় না। দায়িত্বশীল অবস্থান থেকেই সমাজ-

প্রকৃতিকে ভালোবাসার তাগিদ অনুভূব করেন শিল্পী। আর সেই শিল্পীত ভাবনার মধ্যদিয়ে সমাজের মলিনতা দূর করতে চান চিত্রশিল্পী নিলীমা সরকার।

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার প্রধান কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এই চারুকলার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। এখানে তৈরি হয়েছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা। বিপ্লব এনেছেন

শিল্পকলায়। আমাদের দেশজ শিল্পকে তুলে ধরেছেন আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে। সেই ধারাবাহিকতাকে রক্ষায় শিল্পসাধানায় মগ্ন নিলীমা।

শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠেছে প্রকৃতি ও মানুষের নিবিড় সম্পর্ক, বিশ্ব জলবায়ু সংকট এবং পরিবেশ দূষণের মুখে প্রকৃতি। শিল্পের মাধ্যমে এই সচেতনবার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস

রয়েছে শিল্পকর্মে। হৃদমন্দিরের তাগিদ থেকেই কাজের শক্তি যুগিয়েছেন শিল্পী। যার হাত ধরে প্রাপ্তির ঝুলিতে এলো ‘গ্যালারী অনিল অ্যাওয়ার্ড’। যা কিনা ইউরোপের জার্মানীতে প্রথম কোন বাঙালি নারীশিল্পীর এই মাথা উচু করা সম্মান।

শিল্পী জানালেন, ২০২১ সালে বিশ্বের ১০০জন শিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে বাছাই করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ে একজনকে নির্বাচিত করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে চারুকলায় মাস্টার্স (এমএফএ) করের নিলীমা সরকার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সাটিফিকেট আর ২০২২ সালের মে মাসে জার্মানীতে দুই সপ্তাহের জন্য একক চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ।

এ প্রসঙ্গে অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক জার্মান প্রবাসী বাঙালি শিল্পী অনিল হোসেন বলেন, ‘২০০৩ সালে আমি আর তার স্ত্রী শিল্পী নীহারিকা হোসেন জার্মানীতে আর্ট গ্যালারী প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন দেশের চিত্রশিল্পীরা এই গ্যালারীতে প্রদর্শনী আয়োজন করে থাকেন। প্রতি বছর এই গ্যালারী থেকে

বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে ‘গ্যালারী অনিল এ্যাওয়ার্ড ’ অন্যতম। এতে বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় জার্মানীর

আন্তর্জাতিক ‘গ্যালারী অনিল এ্যাওয়ার্ড’ ২০২১ সালের জুরি কমিটি সিদ্ধান্তে অসামান্য শিল্পকর্মের জন্য নিলীমা সরকারকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বাঙালি শিল্পী নিলিমার ছবি আঁকা, ভাবনা, বিষয়বস্তু বেশ উচ্চমানের। তিনি আরও বলেন, বাকী ৯ জন প্রতিযোগি আগামী ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে গ্যালারী অনিলে যৌথ চিত্রপ্রদশর্নীর সুযোগ

পাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি শিল্পীর কাজ ছিলো দুর্দান্ত। সব শিল্পীরা চেষ্টা করেছেন ব্যাতিক্রমধর্মী বিষয় নিয়ে কাজ করার।

জয় শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য শিল্পী নিলীমা সরকারের আঁকা ছবিতে প্রকৃতি এবং মানুষের যে নিবিড় সম্পর্ক তা চিত্তাকর্ষক। উপস্থাপনা সাবলিল।

পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শিল্পী নিলীমা বলেন, আমি অনেক বেশি আবগাপ্লুত। বাঙালি হিসেবে ইউরোপের মাটিতে এতো বড় সম্মান আমার ভবিষ্যৎ কাজে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি শিল্পকর্মের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার শক্তিযোগাবে। আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি।

ব্যস্ত জীবন থেকে যতবারই ছবি আঁকতে গিয়েছি, ততবারই আমার শিল্পীমন প্রকৃতিকে বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে।

একটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব ছিলো। মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিলো। আজ প্রকৃতি মানুষের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ চাইলে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারে, না চাইলে ধ্বংস

করতে পারে। পরিবেশের ভাল-মন্দ আমাদের মানবিক কাজের ফলস্বরূপ। নিজেকে ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবেই।

জয় শিল্পী গোষ্ঠি পরিবার এবং জার্মান শিল্পী দম্পতির পক্ষ থেকে শিল্পী নিলীমার আগামীর অগ্রসরমান যাত্রায় আরও সুন্দর শিল্পীকর্ম প্রত্যাশা। বর্তমান মহামারী প্রকোপ থেকে পৃথিবী

আবার সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সুস্থ-সচেতন পথ বেয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ঋদ্ধি হবে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

4 thoughts on “চিত্রশিল্পী নিলীমার ইউরোপ জয়, ‘গ্যালারী অনিল অ্যাওয়ার্ড’ প্রথম কোন বাঙালি নারী শিল্পীর

  1. অভিনন্দন নীলিমাকে ।
    মারাত্মক সুন্দর পত্রিকা নিবন্ধ, অশেষ ধন্যবাদ সাংবাদিক জনাব চৌধুরী কে আমাদের ” জয় শিল্পী গোষ্ঠীর ” তরফ থেকে !

  2. অভিনন্দন নীলিমাকে ।
    মারাত্মক সুন্দর পত্রিকা নিবন্ধ, অশেষ ধন্যবাদ সাংবাদিক জনাব চৌধুরী কে আমাদের ” জয় শিল্পী গোষ্ঠীর ” তরফ থেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চিত্রশিল্পী নিলীমার ইউরোপ জয়, ‘গ্যালারী অনিল অ্যাওয়ার্ড’ প্রথম কোন বাঙালি নারী শিল্পীর

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

“একটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব ছিলো। মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিলো। আজ প্রকৃতি মানুষের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ চাইলে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারে, না চাইলে ধ্বংস করতে পারে”

বাঙলার লোকজ সাংস্কৃতিক ভান্ডার দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল। ভাটির মানুষের লোকজসংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে চলেছে হাজারো বছর। দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ, বর্ষায় অথৈজল রাশি। অথৈজলে নৌকা ভাসিয়ে জারি-সারি আর পালাগানে উদার প্রকৃতিকে আহ্বান।

এটিই এলাকার রীতি। সেই নেত্রকোনার প্রকৃতিকে সঙ্গী করেই বেড়ে নিলীমার। প্রকৃতিকে ভালোবাসা আজীবন লালিত স্বপ্ন। প্রকৃতির পাতায় পাতায় ভালোবাসার ছাপ। প্রকৃতিকে ভালো না বাসলে, মানুষ বা তার সৃষ্টি তথা সমাজকে ভালোবাসা যায় না। দায়িত্বশীল অবস্থান থেকেই সমাজ-

প্রকৃতিকে ভালোবাসার তাগিদ অনুভূব করেন শিল্পী। আর সেই শিল্পীত ভাবনার মধ্যদিয়ে সমাজের মলিনতা দূর করতে চান চিত্রশিল্পী নিলীমা সরকার।

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার প্রধান কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এই চারুকলার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। এখানে তৈরি হয়েছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা। বিপ্লব এনেছেন

শিল্পকলায়। আমাদের দেশজ শিল্পকে তুলে ধরেছেন আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে। সেই ধারাবাহিকতাকে রক্ষায় শিল্পসাধানায় মগ্ন নিলীমা।

শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠেছে প্রকৃতি ও মানুষের নিবিড় সম্পর্ক, বিশ্ব জলবায়ু সংকট এবং পরিবেশ দূষণের মুখে প্রকৃতি। শিল্পের মাধ্যমে এই সচেতনবার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস

রয়েছে শিল্পকর্মে। হৃদমন্দিরের তাগিদ থেকেই কাজের শক্তি যুগিয়েছেন শিল্পী। যার হাত ধরে প্রাপ্তির ঝুলিতে এলো ‘গ্যালারী অনিল অ্যাওয়ার্ড’। যা কিনা ইউরোপের জার্মানীতে প্রথম কোন বাঙালি নারীশিল্পীর এই মাথা উচু করা সম্মান।

শিল্পী জানালেন, ২০২১ সালে বিশ্বের ১০০জন শিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে বাছাই করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ে একজনকে নির্বাচিত করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে চারুকলায় মাস্টার্স (এমএফএ) করের নিলীমা সরকার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সাটিফিকেট আর ২০২২ সালের মে মাসে জার্মানীতে দুই সপ্তাহের জন্য একক চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ।

এ প্রসঙ্গে অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক জার্মান প্রবাসী বাঙালি শিল্পী অনিল হোসেন বলেন, ‘২০০৩ সালে আমি আর তার স্ত্রী শিল্পী নীহারিকা হোসেন জার্মানীতে আর্ট গ্যালারী প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন দেশের চিত্রশিল্পীরা এই গ্যালারীতে প্রদর্শনী আয়োজন করে থাকেন। প্রতি বছর এই গ্যালারী থেকে

বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে ‘গ্যালারী অনিল এ্যাওয়ার্ড ’ অন্যতম। এতে বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় জার্মানীর

আন্তর্জাতিক ‘গ্যালারী অনিল এ্যাওয়ার্ড’ ২০২১ সালের জুরি কমিটি সিদ্ধান্তে অসামান্য শিল্পকর্মের জন্য নিলীমা সরকারকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বাঙালি শিল্পী নিলিমার ছবি আঁকা, ভাবনা, বিষয়বস্তু বেশ উচ্চমানের। তিনি আরও বলেন, বাকী ৯ জন প্রতিযোগি আগামী ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে গ্যালারী অনিলে যৌথ চিত্রপ্রদশর্নীর সুযোগ

পাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি শিল্পীর কাজ ছিলো দুর্দান্ত। সব শিল্পীরা চেষ্টা করেছেন ব্যাতিক্রমধর্মী বিষয় নিয়ে কাজ করার।

জয় শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য শিল্পী নিলীমা সরকারের আঁকা ছবিতে প্রকৃতি এবং মানুষের যে নিবিড় সম্পর্ক তা চিত্তাকর্ষক। উপস্থাপনা সাবলিল।

পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শিল্পী নিলীমা বলেন, আমি অনেক বেশি আবগাপ্লুত। বাঙালি হিসেবে ইউরোপের মাটিতে এতো বড় সম্মান আমার ভবিষ্যৎ কাজে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি শিল্পকর্মের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার শক্তিযোগাবে। আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি।

ব্যস্ত জীবন থেকে যতবারই ছবি আঁকতে গিয়েছি, ততবারই আমার শিল্পীমন প্রকৃতিকে বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে।

একটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব ছিলো। মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিলো। আজ প্রকৃতি মানুষের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ চাইলে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পারে, না চাইলে ধ্বংস

করতে পারে। পরিবেশের ভাল-মন্দ আমাদের মানবিক কাজের ফলস্বরূপ। নিজেকে ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবেই।

জয় শিল্পী গোষ্ঠি পরিবার এবং জার্মান শিল্পী দম্পতির পক্ষ থেকে শিল্পী নিলীমার আগামীর অগ্রসরমান যাত্রায় আরও সুন্দর শিল্পীকর্ম প্রত্যাশা। বর্তমান মহামারী প্রকোপ থেকে পৃথিবী

আবার সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সুস্থ-সচেতন পথ বেয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ঋদ্ধি হবে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি।