ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ২৯ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৯২ বছরের শিক্ষার্থী সালিমা খান, নজির গড়লেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে

সালিমা খান ছবি: এএনআই

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সালিমা খান ছবি: এএনআই

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

৯২ বছর বয়সের শিক্ষার্থী সালিমা খান। নিয়মিত ক্লাস করেন। এখন তিনি পড়তে ও লিখতে শিখেছেন। টাকার নোট চিনেছেন।

টাকা চিনতে না বলে তার নাতী-নাতনিরা তাকে ভুল বুঝিয়ে অনেক বেশি টাকা নিয়ে যেতো। এখন আর তা পারছে না তারা। কারণ, সালিমা খান লিখতে-পড়তে পারছেন। টাকা চেনেন ও হিসাব করতে পারেন।

সালিমা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি মুদ্রার নোট চিনি না। সেই সুযোগে নাতি-নাতনিরা ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে অনেক বেশি রুপি নিয়ে যেত। এখন আর সেই সুযোগ নেই। সেসব দিন এখন অতীত।

শুধু নিজেই পড়ছেন তা নয়, তার সঙ্গে অন্যদের যোগ দিতেও উৎসাহ দিচ্ছেন। বুধবার সংবাদমাধ্যমের খবরের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বুলান্দশহরের বাসিন্দা সালিমা খান এখন নানি বা দাদির মা। তাকে স্কুলে নিয়ে যান নাতবউ।

১৯৩১ সালের আশপাশে জন্ম সালিমা খানের। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হওয়ার দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। তখন তিনি ১৪ বছরের কিশোরী। সে সময় তার গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না। কিন্তু তার জীবনভর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিখবেন। সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়েছে।

স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা লক্ষ্মী পান্ডে এএফপিকে বলেন, তার (সালিমা) এই চেষ্টাই বলে দেয়, লেখাপড়া শেখার কোনো বয়স নেই। পান্ডে বলেন, সরকারি শিক্ষা কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে সালিমা খানকে সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী বলে অভিহিত করার পাশাপাশি তাকে স্কুলে যেতেও উৎসাহ জোগায়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিভা শর্মা বলেন, প্রথম দিকে সালিমা খানকে পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা দ্বিধান্বিত ছিলেন। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার যে ‘আগ্রহ’ তা শিক্ষকদের মন জিতে নিয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রতিভা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘তাঁকে না করার মতো হৃদয় আমাদের নয়।

সালিমা স্কুলে যাওয়ার পর থেকে গ্রামের আরও ২৫ জন নারী গণশিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তার দুই পুত্রবধূও রয়েছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন কিমানি এনগ্যাং মারুগে নামে কেনিয়ার এক নারী। ২০০৪ সালে যখন তিনি তালিকাবদ্ধ হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৪ বছর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৯২ বছরের শিক্ষার্থী সালিমা খান, নজির গড়লেন

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সালিমা খান ছবি: এএনআই

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

৯২ বছর বয়সের শিক্ষার্থী সালিমা খান। নিয়মিত ক্লাস করেন। এখন তিনি পড়তে ও লিখতে শিখেছেন। টাকার নোট চিনেছেন।

টাকা চিনতে না বলে তার নাতী-নাতনিরা তাকে ভুল বুঝিয়ে অনেক বেশি টাকা নিয়ে যেতো। এখন আর তা পারছে না তারা। কারণ, সালিমা খান লিখতে-পড়তে পারছেন। টাকা চেনেন ও হিসাব করতে পারেন।

সালিমা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি মুদ্রার নোট চিনি না। সেই সুযোগে নাতি-নাতনিরা ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে অনেক বেশি রুপি নিয়ে যেত। এখন আর সেই সুযোগ নেই। সেসব দিন এখন অতীত।

শুধু নিজেই পড়ছেন তা নয়, তার সঙ্গে অন্যদের যোগ দিতেও উৎসাহ দিচ্ছেন। বুধবার সংবাদমাধ্যমের খবরের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বুলান্দশহরের বাসিন্দা সালিমা খান এখন নানি বা দাদির মা। তাকে স্কুলে নিয়ে যান নাতবউ।

১৯৩১ সালের আশপাশে জন্ম সালিমা খানের। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হওয়ার দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। তখন তিনি ১৪ বছরের কিশোরী। সে সময় তার গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না। কিন্তু তার জীবনভর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিখবেন। সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়েছে।

স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা লক্ষ্মী পান্ডে এএফপিকে বলেন, তার (সালিমা) এই চেষ্টাই বলে দেয়, লেখাপড়া শেখার কোনো বয়স নেই। পান্ডে বলেন, সরকারি শিক্ষা কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে সালিমা খানকে সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী বলে অভিহিত করার পাশাপাশি তাকে স্কুলে যেতেও উৎসাহ জোগায়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিভা শর্মা বলেন, প্রথম দিকে সালিমা খানকে পড়াতে গিয়ে শিক্ষকেরা দ্বিধান্বিত ছিলেন। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার যে ‘আগ্রহ’ তা শিক্ষকদের মন জিতে নিয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রতিভা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘তাঁকে না করার মতো হৃদয় আমাদের নয়।

সালিমা স্কুলে যাওয়ার পর থেকে গ্রামের আরও ২৫ জন নারী গণশিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তার দুই পুত্রবধূও রয়েছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন কিমানি এনগ্যাং মারুগে নামে কেনিয়ার এক নারী। ২০০৪ সালে যখন তিনি তালিকাবদ্ধ হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৪ বছর।