ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাতি কাণ্ডে দিশেহারা সীমান্তপবর্তী তিনজেলার মানুষ

 

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কাঁটাতারের সীমানা ঘেঁষে পাকা রাস্তা। নদী বা ছড়ার ওপর ব্রীজ রয়েছে। শুকনা মৌসুমে ছড়া কিংবা নদীর জল শুকিয়ে গেলে বন্য হাতির পাল অনায়েসে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে। কিছু হাতি এ দেশের অভ্যন্তরে থেকে যায়।

বিশেষ করে মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে এরা ধান ক্ষেতে প্রবেশ করে পাকা ধান খেয়ে ফেলে। হাতির পালের পায়ে পিষ্ট হয়ে নষ্ট বিপুল পরিমাণ খেতের ফসল। ভুট্টা ক্ষেত ও কলার বাগানে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করে।

হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকরা ধান পরিপক্ব হওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করায় আশানুরূপ ফলন থেকে বঞ্চিত হন। হাতি তাড়ানোর জন্য ধানখেতের চারদিকে বৈদ্যুতিক তারের সীমানা দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে স্বল্প মাত্রার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কখনো হাতি তারে জড়ালে ইলেক্টরিক শক পেয়ে ভয় পায়।

বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষায় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে, টর্চের আলো ছড়িয়ে, চিৎকার, শোরগোলে অনেক সময় হাতির পাল সরে যায়। অনেক সময় কাজ হয়, আবার হয় না। বন্য হাতির অনুপ্রবেশ এবং আক্রমণ থেকে জানমাল ও ফসল রক্ষায় বিজিবি এবং বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে।

হাতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাঁতানীপাড়া ও কামালপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাথরের চর ও শ্রীপুরের বালিয়ামারী এলাকায় বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারগণ বন্যহাতির আক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভারও আয়োজন করেন তারা।

জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শামছুল হক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বন্য হাতির আক্রমণ থেকে জানমাল ও ফসল রক্ষায় জামালপুরসহ তিন জেলার ২৬টি স্থানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রী সাহাবউদ্দিন বলেন, বন্য হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠক

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

হাতি কাণ্ডে দিশেহারা সীমান্তপবর্তী তিনজেলার মানুষ

 

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কাঁটাতারের সীমানা ঘেঁষে পাকা রাস্তা। নদী বা ছড়ার ওপর ব্রীজ রয়েছে। শুকনা মৌসুমে ছড়া কিংবা নদীর জল শুকিয়ে গেলে বন্য হাতির পাল অনায়েসে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে। কিছু হাতি এ দেশের অভ্যন্তরে থেকে যায়।

বিশেষ করে মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে এরা ধান ক্ষেতে প্রবেশ করে পাকা ধান খেয়ে ফেলে। হাতির পালের পায়ে পিষ্ট হয়ে নষ্ট বিপুল পরিমাণ খেতের ফসল। ভুট্টা ক্ষেত ও কলার বাগানে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করে।

হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকরা ধান পরিপক্ব হওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করায় আশানুরূপ ফলন থেকে বঞ্চিত হন। হাতি তাড়ানোর জন্য ধানখেতের চারদিকে বৈদ্যুতিক তারের সীমানা দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে স্বল্প মাত্রার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কখনো হাতি তারে জড়ালে ইলেক্টরিক শক পেয়ে ভয় পায়।

বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষায় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে, টর্চের আলো ছড়িয়ে, চিৎকার, শোরগোলে অনেক সময় হাতির পাল সরে যায়। অনেক সময় কাজ হয়, আবার হয় না। বন্য হাতির অনুপ্রবেশ এবং আক্রমণ থেকে জানমাল ও ফসল রক্ষায় বিজিবি এবং বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে।

হাতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাঁতানীপাড়া ও কামালপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাথরের চর ও শ্রীপুরের বালিয়ামারী এলাকায় বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারগণ বন্যহাতির আক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভারও আয়োজন করেন তারা।

জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শামছুল হক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বন্য হাতির আক্রমণ থেকে জানমাল ও ফসল রক্ষায় জামালপুরসহ তিন জেলার ২৬টি স্থানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রী সাহাবউদ্দিন বলেন, বন্য হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।