সয়াবিনের নতুন জাত উদ্ভাবন : উপকূলে লবণসহিষ্ণু জমিতে চাষাবাদযোগ্য
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষকেরা লবণসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল সয়াবিনের ‘বিইউ সয়াবিন-৩’ ও ‘বিইউ সয়াবিন-৪’ উদ্ভাবন করেন ছবি: সংগৃহীত
‘লবণসহিষ্ণু সয়াবিনের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেন বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা, জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে যার অনুমোদনও পাওয়া গেছে’
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
উপকূলের লবণাক্ত এলাকায় সয়াবিনের চাষাবাদযোগ্য নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। ‘বিইউ সয়াবিন-৩’ ও ‘বিইউ সয়াবিন-৪’ জাত দুটিকে জাতীয় বীজ বোর্ডের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গবেষকেরা লবণসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল সয়াবিনের এই জাত দুটি উদ্ভাবন করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বলছেন, সয়াবিনের নতুন জাত দুটি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ও প্রচুর ভিটামিনসমৃদ্ধ। জাত দুটি চাষাবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হবে।
২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ থেকে বিইউ সয়াবিন-১ নামে খর্বাকৃতি ও অপেক্ষাকৃত কম সময়ে পরিপক্ব উচ্চফলনশীল এবং বিইউ সয়াবিন-২ নামে উচ্চফলনশীল, খরা ও জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করা হয়। জাত দুটি কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
উদ্ভাবন গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক আবদুল করিম বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাত দুটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলার কয়েকটি উপজেলায় বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ত জমিতে রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমেই চাষ করা হয়। বিভিন্ন উপজেলায় জাত দুটির গড় ফলন পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ২ মেট্রিক টন।