ঈদে ঘরমুখো মানুষের বেপরোয়া চলাচলকে সুইসাইডের সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আক্ষেপের সুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্য লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে যেভাবে দলবেঁধে, গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে জেলায় যাতায়াত করছে, তা সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল।
ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। নেপালেও ছড়িয়ে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এই জটিল সময়ে মানুষ গ্রামে গিয়ে পরিবারসহ মানুষজনকে গণহারে আক্রান্ত করতে পারে। ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে দেশের চারটি সীমান্ত এলাকার বিভাগীয় উচ্চপদস্থ আধিককারিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠককালে একথা বলেন।
মন্ত্রীর মতে, শহরাঞ্চলেও মানুষ বেপরোয়া চলাফেরা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় বিভাগীয় শহরে শপিংমলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষের চলাফেরা থেমে নেই। ঈদের পর ভারত-নেপালের মতো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। একারণে প্রতিটি বর্ডার এলাকার দায়িত্বরত আধিকারীকদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
ভারত যাতায়াতকারী ব্যক্তির পরিবারসহ সকল মানুষকে দ্রুত ও বাধ্যতামূলক পরীক্ষার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকার যানবাহন অন্য জেলায় মুভমেন্ট বন্ধ করতে করতে হবে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট আধিকরীকদের কঠোর সিদ্ধান্ত নেবারও নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার জানান, ভারত যাতায়াত করেছেন, এমন ২৭০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
তাদেরকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে বন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ট্রাক ড্রাইভার-হেল্পারদের মুভমেন্ট বন্ধ এবং কঠোরভাবে তাদের আইসোলেশন ব্যবস্থায় জোর দেয়া হয়েছে।