সোয়া লাখ অবৈধ ফোনসেট শনাক্ত করেছে বিটিআরসি

- আপডেট সময় : ১০:২৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১ ২৯১ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালুর তিন দিনে সোয়া লাখ ‘অবৈধ’ ফোনসেট শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যেসব ফোন শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন পাবে না, সেগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর গত শুক্রবার থেকে অবৈধ ফোন শনাক্তের ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করলো সংস্থাটি। বন্ধের আগ পর্যন্ত নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সব ফোন
ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। এ ক্ষেত্রে বৈধ-অবৈধ বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে নতুন করে কোনো অবৈধ ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে তা বন্ধ করা হবে।
বিটিআরসির তনরফে সোমবার ঢাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে গিয়ে অবৈধ ফোন বিক্রি না করার বিষয়ে প্রচারণা চালায়। কর্মকর্তারা ঢাকার মোতালিব প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও
সীমান্ত স্কয়ারে গিয়ে বিক্রেতাদের জানিয়ে দেন, অবৈধ ফোন বিক্রি করলে তা ফেরত দিতে হবে।বিটিআরসির কাছে তথ্য রয়েছে, জেনে-শুনে কেউ কেউ কম দামে পেয়ে অবৈধ ফোন কিনছেন।
তারা মনে করছে এগুলো একবার চালু হলে বন্ধ হবে না। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে। বিটিআরসি সূত্রের খবর, তিন দিনে নেটওয়ার্কে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ৩ লাখ ৪৯
হাজার ৬৫২টি ফোন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টির তথ্য বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে ছিল না। এসব ফোন হয় অবৈধভাবে আমদানি, অথবা প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে এসেছেন।
প্রবাসীরা যেসব ফোন নিয়ে এসেছেন, সেসব ফোন নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিটিআরসির ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্যাদি, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি জমা দিয়ে নিবন্ধন
করা যায়। বিটিআরসি জানিয়েছে, বিদেশ আনা ফোনগুলো ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকবে। এরপর বন্ধ হবে।