সুন্দরী নারী দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রতারণা, মডেল মেঘনার সহযোগী রিমান্ডে

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার তথ্য জানা যায়। সে রাতে মেঘনার সহযোহগী সমিরকে সেখানে পাওয়া যায়
গত ৮ এপ্রিল সমিরের বাসায় অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। বসুন্ধরা আবাসিকের বাসা থেকে ১০ এপ্রিল রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ

সুন্দরী নারী ব্যবহার করে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রতারণা মামলায় মডেল মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সামিরকে পাঁচদিন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হলে পাঁচদিনের অনুমতি দেয় আদালত। নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে সামিরের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সুন্দরী মেয়েদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে।
সুন্দরী নারীকে ব্যবহার করে সৌদি আরবের সদ্য বিদায় নেওয়া রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলানকে ভয় দেখিয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার গোয়েন্দারা মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করে। সমির মেঘনার সহযোগী। সমিরের বিরুদ্ধে সুন্দরী নারীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
সমির কাওয়াই নামে একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী (সিইও) এবং সানজানা ম্যানপাওয়ারের কর্ণধার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টার তথ্য জানা যায়। সেদিন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে সমিরকে সেখানে পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, দেওয়ান সমির প্রতারক দলের সদস্য তথা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে। পরবর্তীতে সুকৌশলে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে।
আসামিরা ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলানকে টার্গেট করে গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রতারক দলের সদস্যরা সখ্যতা তৈরি করে। একপর্যায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করে ফাঁদে ফেলে ৫মিলিয়ন ডলার দাবি করে। দেওয়ান সমির এ টাকা দেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয় চাপ সৃষ্টি করে।

আবেদনে বলা হয়, প্রতারণা চেষ্টার অংশ হিসেবে গত ৮ এপ্রিল সমিরের বাসায় অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। বসুন্ধরা আবাসিকের বাসা থেকে তাকে ১০ এপ্রিল রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মডেল মেঘনা আলমকে আটক করে গোয়েন্দারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে আসছেন আসামি দেওয়ান সমির। তার বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।