মাঝ নদীতে যাত্রী লঞ্চে বিধ্বংসী আগুন ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনায় লঞ্চটির চার মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারদের দায়ী করে নৌপরিবহণ মন্ত্রকে প্রতিবেদন দিয়েছে এসংক্রান্ত গঠিত কমিটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর লঞ্চটিতে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর নৌ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ঢাকার সদরঘাটে কর্মরত নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। সোমবার মন্ত্রকের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়। দুর্ঘটনা রোধে ২৫ দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ ছবি সংগ্রহ
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট অতিক্রমের পরই ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছিলো। অনেক চেষ্টা করেও ইঞ্জিনের ত্রুটি সারতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্টরা। এসময় অনেক যাত্রী লঞ্চটি ভেড়ানোর অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু মাস্টার ও ইঞ্জিন ড্রাইভার যাত্রীদের অনুরোধের গুরুত্ব না দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চটি চালিয়ে যান।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, বিধ্বংসী আগুন নেভানোর কোনো চেষ্টা করা হয়নি যা প্রতিবেদনে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগুন লাগার পর লঞ্চটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় আনুমানিক ১৫ মিনিট চলার পর ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর বাটারাকান্দা গ্রামে নদীর পাড়ে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
সেখানে লঞ্চের প্রথম শ্রেণির ইঞ্জিন ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় শ্রেণির ইঞ্জিন ড্রাইভার আবুল কালাম ও কর্মরত গ্রিজাররা (ইঞ্জিনকক্ষের সহকারী) পালিয়ে যান। নোঙর করা বা লঞ্চটি বাঁধার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া সত্ত্বেও তা করা হয়নি।