ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে মহামারি মোকাবিলার ডাক হাসিনার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০ ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেক্স রিপোর্ট: বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নেওয়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বসার উদ্যোগ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্যও মোদিকে ধন্যবাদ জানান হাসিনা।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিনজনই বিদেশ থেকে আসা। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে আরও দু’জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তারাও বিদেশ থেকে ফিরেছেন। স্থানীয়ভাবে এখনো কেউ সংক্রমিত হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ নতুন নির্মিত চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য রাজশাহীতেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সব জেলার সব হাসপাতালে এ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কয়েকটি খালি ভবন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এছাড়া, আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন গাউন, মাস্ক, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র মজুদ করা আছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভবিষ্যৎ যে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি বলে মত দেন শেখ হাসিনা। সবাই সম্মত হলে বাংলাদেশ এ পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা এ অঞ্চলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় কী হতে পারে এবং তাদের নিজ নিজ দেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে কথা বলছেন। ভিডিও কনফারেন্সে মোদীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে মহামারি মোকাবিলার ডাক হাসিনার

আপডেট সময় : ০৩:২২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

ডেক্স রিপোর্ট: বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নেওয়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বসার উদ্যোগ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্যও মোদিকে ধন্যবাদ জানান হাসিনা।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিনজনই বিদেশ থেকে আসা। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে আরও দু’জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তারাও বিদেশ থেকে ফিরেছেন। স্থানীয়ভাবে এখনো কেউ সংক্রমিত হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ নতুন নির্মিত চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য রাজশাহীতেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সব জেলার সব হাসপাতালে এ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কয়েকটি খালি ভবন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এছাড়া, আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন গাউন, মাস্ক, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র মজুদ করা আছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভবিষ্যৎ যে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি বলে মত দেন শেখ হাসিনা। সবাই সম্মত হলে বাংলাদেশ এ পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা এ অঞ্চলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় কী হতে পারে এবং তাদের নিজ নিজ দেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে কথা বলছেন। ভিডিও কনফারেন্সে মোদীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।