সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’

- আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
ভোলায় বেদে জেলে পল্লীতে আনন্দ
এর আগে গেলো বছরের প্রথম সহায়তার হাত বাড়িয়েছিলেন দ্বীপ জেলা ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। মূলত তাঁর ইচ্ছায় ভাসমান মানুষগুলো জীবনে প্রথম সরকারী চাল সহায়তা পেলেন।
সময়টা ছিলো পবিত্র রমজান মাস। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র মৎসীজী জেলে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন শেখ বেদে মৎস্যজহীবীদেও সহায়তার জন্য চাল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই প্রথম বার ৪টন চাল পায় বাংলাদেশে ক্ষুদ্র মৎসীজী জেলে সমিতি।
এর আগে স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোন ব্যক্তি বেদে মৎস্যজীবীদের জন্য কোন সরকারী সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেনি। যদিও মৎস্যজীবীদের জন্য একাধিক সংগঠন রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলা জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতখান উপজেলার সভাপতি আল মামুন শেখ জানান, গত বছর ঈদের আগ মুহূর্তে প্রথম বারের মতো সরকারী চাল পেয়ে ঈদ আনন্দ বয়ে যাচ্ছে বেদে মৎস্যজীবী পল্লীতে। সে সময় তারা ১৩০টি বেদে মৎস্যজীবী পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। জীবনে প্রথম বার সরকারী চাল পেয়ে ঈদ আনন্দে উপভোগ করেন বেদে মৎস্যজীবীরা।
ভোলা জেলায় সবচেয়ে বেশি বেদে মৎস্যজীবী রয়েছেন। মেঘনা-তেতুলিয়া এবং পদ্মার অথৈজলে ভেসে চলা বেদেরা তাদের চৌদ্দ পুরুষের পেশা ছেড়ে এখন মাছ শিকারকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

বছরের পর বছর নদ-নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সাধারণ জেলেরা সরকারী সহায়তা পেলেও, বেদে জেলেরা ছিলেন বঞ্চিত। এবার ব্যতিক্রম। আল মামুন শেখ জানান, বেদে জেলেদের জন্য সরকারী চাল সহায়তা পেতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক দ্বিতীয় দফায় যে চাল বরাদ্দ দেন তা ৩০০ বেদে মৎস্যজীবী পরিবারের মধ্যে বিরতরণ করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী মৎস্যজীবী বেদে পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। নদীর অথৈজলই তাদের বাড়ি-ঘর। এই নদীতেই তাদের জন্মমৃত্যু। একমাত্র মাছ ধরেই সংসার চলে তাদের।