ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সবচেয়ে দামি চার রকমের খেজুর

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর আপনি বারোমাসই খেতে পারেন। এর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। খেজুরের লিউটেন এবং জিক্সাথিন নামক উপাদান চোখের রেটিনা ভালো রাখে।

পবিত্র রমজান মাস নয়, আপনি বারোমাসই পাতে খেজুর রাখতে পারেন। রমজানে ইফতারে কম বেশি সবাই খেজুর রাখেন। এই এক মাসে খেজুরের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। রমজানে ভালো মানের খেজুরের দামও বাড়ে।

খেজুরের মধ্যে চার রকমের খেজুর সবচেয়ে দামি বলে ধরে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মেডজুল খেজুর এটি। প্রকারভেদে মেডজুল খেজুর বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। আকারে বড়, প্রায় দেড় থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা মেডজুল, যা জাম্বো নামে পরিচিত। এটির পাইকারি প্রতি কেজি ১,৪০০ টাকা। আর খুচরা মেলে ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকায়।

মধ্যম মানের প্রতি কেজি ১,৩০০ টাকা, খুচরায় ১,৫০০ টাকায়। এই পদের মেডজুল সাধারণত এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।

তুলনামূলক ছোট আকারের মেডজুল খেজুর এক ইঞ্চির ছোট। যডা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। খুচরায় ১,১০০ থেকে ১,১৫০ টাকা কেজি।

দ্বিতীয় মারিতে রয়েছে আজোয়া। বিখ্যাত খেজুরের উৎপাদন হয় সৌদি আরবের মদিনায়। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল-এর ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে আজোয়াকে খেজুরকে রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

একসময় আজোয়া পাওয়া যেত সুপারশপ ও বড় বাজারগুলোয়। দাম বেশি থাকায় আমদানিও কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই খেজুরের আমদানি বেড়েছে। দাম কমেছে। এখন অলিগলির দোকানে, ভ্যানগাড়িতেও এই খেজুর পাওয়া যায়। মূলত ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেজুরের দাম কমতে থাকে।

জামের মতো কালো রঙের আবরণে মোড়ানো বড় আকারের আজোয়া বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। মধ্যম আকারের আজোয়া সাড়ে ৯৫০ টাকা আর ছোট আকারের সাড়ে ৭০০ টাকায়। খুচরা বাজারে আজোয়ার দাম পড়ছে ৯০০ থেকে ১,৪০০ টাকা।

অভিজাত শ্রেণির খেজুরের মধ্যে মেডজুল ও আজোয়ার পরই মাবরুম-এর অবস্থান। সৌদি আরবের মাবরুম পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা। খুচরাই পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। মধ্যম সারির মাবরুমের দাম পড়ছে পাইকারিতে ৮২০ টাকা, খুচরায় ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

৪ নম্বরে মরিয়ম-এর অবস্থান। সৌদি আরব, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও মিসর থেকে মরিয়ম খেজুরের আমদানি হয়। সৌদি ও ইরানি মরিয়মের চল বেশি। মানভেদে এই খেজুরের দামেও নানা রকমফের রয়েছে। মরিয়ম পাইকারিতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরায় সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার ২৫০ টাকা। এটি সৌদি মরিয়ম নামে পরিচিত।

ইরানি মরিয়মের দাম পাইকারিতে ৫০০, খুচরায় সাড়ে ৬০০ টাকা। ভালো মানের মরিয়মের রং উজ্জ্বল বাদামি। এগুলো প্রায় দেড় ইঞ্চির মতো লম্বা। বাজারে কালমি মরিয়ম, সুফরি মরিয়মসহ বিভিন্ন নামে এই খেজুর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ১৯৭৭ সাল থেকে খেজুর আমদানি করা হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, শুরুতে খুব সামান্য পরিমাণে খেজুর আমদানি হতো। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে আমদানি। এ শতকের প্রথম দশকে বছরে গড়ে ২৪ হাজার টন খেজুর আমদানি হতো। দ্বিতীয় দশকে তা দাঁড়ায় ৪৫ হাজার টনে। গত চার বছরে গড়ে আমদানি হচ্ছে ৮৬ হাজার টন করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সবচেয়ে দামি চার রকমের খেজুর

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর আপনি বারোমাসই খেতে পারেন। এর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। খেজুরের লিউটেন এবং জিক্সাথিন নামক উপাদান চোখের রেটিনা ভালো রাখে।

পবিত্র রমজান মাস নয়, আপনি বারোমাসই পাতে খেজুর রাখতে পারেন। রমজানে ইফতারে কম বেশি সবাই খেজুর রাখেন। এই এক মাসে খেজুরের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। রমজানে ভালো মানের খেজুরের দামও বাড়ে।

খেজুরের মধ্যে চার রকমের খেজুর সবচেয়ে দামি বলে ধরে নেওয়া হয়। এর মধ্যে মেডজুল খেজুর এটি। প্রকারভেদে মেডজুল খেজুর বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। আকারে বড়, প্রায় দেড় থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা মেডজুল, যা জাম্বো নামে পরিচিত। এটির পাইকারি প্রতি কেজি ১,৪০০ টাকা। আর খুচরা মেলে ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকায়।

মধ্যম মানের প্রতি কেজি ১,৩০০ টাকা, খুচরায় ১,৫০০ টাকায়। এই পদের মেডজুল সাধারণত এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।

তুলনামূলক ছোট আকারের মেডজুল খেজুর এক ইঞ্চির ছোট। যডা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। খুচরায় ১,১০০ থেকে ১,১৫০ টাকা কেজি।

দ্বিতীয় মারিতে রয়েছে আজোয়া। বিখ্যাত খেজুরের উৎপাদন হয় সৌদি আরবের মদিনায়। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল-এর ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে আজোয়াকে খেজুরকে রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

একসময় আজোয়া পাওয়া যেত সুপারশপ ও বড় বাজারগুলোয়। দাম বেশি থাকায় আমদানিও কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই খেজুরের আমদানি বেড়েছে। দাম কমেছে। এখন অলিগলির দোকানে, ভ্যানগাড়িতেও এই খেজুর পাওয়া যায়। মূলত ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেজুরের দাম কমতে থাকে।

জামের মতো কালো রঙের আবরণে মোড়ানো বড় আকারের আজোয়া বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। মধ্যম আকারের আজোয়া সাড়ে ৯৫০ টাকা আর ছোট আকারের সাড়ে ৭০০ টাকায়। খুচরা বাজারে আজোয়ার দাম পড়ছে ৯০০ থেকে ১,৪০০ টাকা।

অভিজাত শ্রেণির খেজুরের মধ্যে মেডজুল ও আজোয়ার পরই মাবরুম-এর অবস্থান। সৌদি আরবের মাবরুম পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা। খুচরাই পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। মধ্যম সারির মাবরুমের দাম পড়ছে পাইকারিতে ৮২০ টাকা, খুচরায় ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

৪ নম্বরে মরিয়ম-এর অবস্থান। সৌদি আরব, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও মিসর থেকে মরিয়ম খেজুরের আমদানি হয়। সৌদি ও ইরানি মরিয়মের চল বেশি। মানভেদে এই খেজুরের দামেও নানা রকমফের রয়েছে। মরিয়ম পাইকারিতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরায় সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার ২৫০ টাকা। এটি সৌদি মরিয়ম নামে পরিচিত।

ইরানি মরিয়মের দাম পাইকারিতে ৫০০, খুচরায় সাড়ে ৬০০ টাকা। ভালো মানের মরিয়মের রং উজ্জ্বল বাদামি। এগুলো প্রায় দেড় ইঞ্চির মতো লম্বা। বাজারে কালমি মরিয়ম, সুফরি মরিয়মসহ বিভিন্ন নামে এই খেজুর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ১৯৭৭ সাল থেকে খেজুর আমদানি করা হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, শুরুতে খুব সামান্য পরিমাণে খেজুর আমদানি হতো। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে আমদানি। এ শতকের প্রথম দশকে বছরে গড়ে ২৪ হাজার টন খেজুর আমদানি হতো। দ্বিতীয় দশকে তা দাঁড়ায় ৪৫ হাজার টনে। গত চার বছরে গড়ে আমদানি হচ্ছে ৮৬ হাজার টন করে।