ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

সনদ জালিয়াতি,  বিমানের নারী পাইলটের দেশ ত্যাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩ ২০৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন নারী পাইলট সনদ জালিয়াতি করে চাকরী পেয়েছেন। এমন অভিযোগের যখন তদন্ত শুরু করেন কর্তৃপক্ষ, তখনই সাদিয়া আহমেদ নামের নারী পাইলট কর্তৃপক্ষ বরাবরে শারীরিক অসুস্থতার ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে দেশ ছেড়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, সাদিয়ার স্বামী বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ। যিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে তাকেও চাকরিচ্যুত করেন কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সনদ জালিয়াতি করেই বাংলাদেশের বিমানের পাইলট হয়েছিলেন। এই নারী পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জাল শিক্ষাসনদে পাইলট হয়েছেন।

অভিযোগ পেয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিমান যখন ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে, ঠিক তখনই ‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমানকে ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। সূত্রের খবর, শারীরিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছে ই-মেইল করে দেশ ছাড়েন। শিক্ষাসনদ জালিয়াতি ও মানবিক বিভাগে পড়ে পাইলট হয়েছিলেন সাদিয়া।

তবে মার্চে মাসের শেষের দিকে শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তাকে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। সাদিয়া আহমেদ আর কোনো ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন।

অথচ, কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকায় বলা আছে, বাণিজ্যিক পাইলটদের অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তিনি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন জমা দেওয়া সনদ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সনদ জালিয়াতি,  বিমানের নারী পাইলটের দেশ ত্যাগ

আপডেট সময় : ০৯:০০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন নারী পাইলট সনদ জালিয়াতি করে চাকরী পেয়েছেন। এমন অভিযোগের যখন তদন্ত শুরু করেন কর্তৃপক্ষ, তখনই সাদিয়া আহমেদ নামের নারী পাইলট কর্তৃপক্ষ বরাবরে শারীরিক অসুস্থতার ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে দেশ ছেড়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, সাদিয়ার স্বামী বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ। যিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে তাকেও চাকরিচ্যুত করেন কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সনদ জালিয়াতি করেই বাংলাদেশের বিমানের পাইলট হয়েছিলেন। এই নারী পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জাল শিক্ষাসনদে পাইলট হয়েছেন।

অভিযোগ পেয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিমান যখন ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে, ঠিক তখনই ‘সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমানকে ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। সূত্রের খবর, শারীরিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছে ই-মেইল করে দেশ ছাড়েন। শিক্ষাসনদ জালিয়াতি ও মানবিক বিভাগে পড়ে পাইলট হয়েছিলেন সাদিয়া।

তবে মার্চে মাসের শেষের দিকে শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তাকে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। সাদিয়া আহমেদ আর কোনো ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন।

অথচ, কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকায় বলা আছে, বাণিজ্যিক পাইলটদের অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তিনি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন জমা দেওয়া সনদ রয়েছে।