সংক্রমণ রোধে মিশ্র টিকার গবেষণা

- আপডেট সময় : ০৪:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
সংক্রমণ রোধে করোনার দুই ধরনের টিকার বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি সমর্থন এখনও পর্যন্ত মেলেনি। বরং হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! কোন ব্যক্তি অনুমোদিত টিকার যে কোন একটি ডোজ নেওয়ার পর, পরবর্তীতে ডোজটি অন্যকোন টিকার নেওয়া যাবে, এমন বৈজ্ঞানিক সমর্থন এখনও পাওয়া যায়নি। বরং আশঙ্কা থাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার। এনিয়ে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তার দ্বিতীয় ডোজ অন্য টিকা নিতে পারবেন কিনা তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য-উপাত্থ পাওয়া না গেলেও এনিয়ে গবেষণা চলছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক স্ন্যাপ বলেছেন, যারা দুই ধরনের টিকার নিয়েছেন, তাদের মধ্যে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, অস্থিরতা ও মাংসপেশির ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আগামী জুন মাসে এই গবেষণার পূর্ণ ফলাফল প্রকাশিত হবে। এই গবেষণায় ৫০ ঊর্ধ্ব ৮৩০ জন স্বেচ্ছাসেবককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গেল এপ্রিল মাসে ১ হাজার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর মডার্না ও নোভাভ্যাক্সের মিশ্র টিকার গবেষণা চালানো হয়। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও অনেকের মধ্যে দুর্বলতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ ও ফাইজারের আরেক ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁদের ৩৪ শতাংশের মধ্যে জ্বর জ্বর ভাব দেখা দিয়েছে।
তবে, নিরাশার মাঝেও আশার বাণী এসেছে অপর এক গবেষণায়। গেল ফেব্রুয়ারি মাসে দ্য কম-কভ নামে পরিচালিত গবেষণা বলছে, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজ অন্য প্রতিষ্ঠানের টিকা নিলে দীর্ঘ মেয়াদে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
করোনার নতুন ধরন থেকে সুরক্ষা পেতে ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ক্লিনিকগুলোকে দুই ধরনের দুই ডোজ টিকা দিতে বলা হয়েছে। কানাডার ওন্টারিও ও কুইবেক প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা শিগগিরই মিশ্র টিকা ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছেন।