শুকনো মৌসুমে কলকলিয়ে বেড়ে চলেছে তিস্তার পানি

- আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে যাচ্ছি, ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে। এটা ভারতের চাল। কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না
১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পারে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলবে
খরা মৌসুমে হঠাৎ কলকলিয়ে বাড়চ্ছে তিস্তার পানি। ধূ ধূ বালু চরগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৬ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বেড়ে চলেছে।
এদিন বিকেল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৫০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।
পানি বাড়ায় তিস্তা পাড়ের কৃষকরা আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তিস্তার বালুচরে চাষ করা রসুন, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।
তিস্তা পাড়ের কদম আলী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে যাচ্ছি, ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে। এটা ভারতের চাল। কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না।
তিস্তা পড়ার আকবর আলী বলেন, বিকেল থেকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকার চরগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
জেলে সবুর আলী জানান, তিস্তার জেগে ওঠা চড়ে ৩ বিঘা রসুন ও পিয়াজ আবাদ করেছেন। ভারত পানি ছাড়লে ক্ষেত ডুবে যাবে। এখন ফসল নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থাকে পানির ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কি পরিমান পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি শুনেছি। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পারে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলবে।