ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, আইন উপদেষ্টা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানালেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকতো। আমরা নতুন আইনে বিধান করেছি– ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষীর ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে সেটা করতে পারে।

ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছি। ধর্ষণকালে বা ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যদি কোনও জখম করা হয়, সেটাকেও আমরা কঠোর শাস্তির আওতায় আনছি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলার জট লেগে যেতো। এখানে দুই ধরনের মামলা আসতো। একটা হলো, সম্মতিসহ ধর্ষণের ঘটনা বা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ। এসব মামলার অনেক আধিক্য ছিল। সম্মতি ছাড়া ধর্ষণের ঘটনার মামলাগুলোর বিচার এ কারণে আটকে থাকতো।

সে জন্য আমরা নতুন আইনে বিধান করেছি, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনা সেটা একটা আলাদা অপরাধ। আর সম্মতি ছাড়া যেসব অপরাধ, সেগুলো আইনে আলাদা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সম্মতি ছাড়া যেসব অপরাধ, সেগুলোর বিচার কাজের সময় কমানো হয়েছে। আমরা এটাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিশু ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানালেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকতো। আমরা নতুন আইনে বিধান করেছি– ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষীর ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে সেটা করতে পারে।

ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছি। ধর্ষণকালে বা ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যদি কোনও জখম করা হয়, সেটাকেও আমরা কঠোর শাস্তির আওতায় আনছি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলার জট লেগে যেতো। এখানে দুই ধরনের মামলা আসতো। একটা হলো, সম্মতিসহ ধর্ষণের ঘটনা বা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ। এসব মামলার অনেক আধিক্য ছিল। সম্মতি ছাড়া ধর্ষণের ঘটনার মামলাগুলোর বিচার এ কারণে আটকে থাকতো।

সে জন্য আমরা নতুন আইনে বিধান করেছি, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনা সেটা একটা আলাদা অপরাধ। আর সম্মতি ছাড়া যেসব অপরাধ, সেগুলো আইনে আলাদা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সম্মতি ছাড়া যেসব অপরাধ, সেগুলোর বিচার কাজের সময় কমানো হয়েছে। আমরা এটাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।