শিশুদের চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভবিষ্যতে শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে উল্লেখ করে এখন থেকে সবাইকে সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। শিশুরাই হবে আসল স্মার্ট, তারাই দেশ চালাবে। আমরা একসময় চাঁদেও যাবো, সবাইকে এখন থেকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।
শনিবার (৬ জুলাই) গোপালগঞ্জের গিমডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন ও ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় চমৎকার এ উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগের ফলে ছোট শিশুরা স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সম্পর্কে জানতে পারবে।
১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলটিতে এ সময় তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্নহীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই বিষয়গুলো তাকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোনো সুখ-সুবিধা কিছুই দেখেননি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল দেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দেবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যেন একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তার লক্ষ্য ছিল।
সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে তুলে ধরা- এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে।
তিনি এ উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট্ট সোনামণি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মতো প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী। তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোনো চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধ্যয়নকৃত বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানায়। শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
তিনি সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন।
এরআগে, সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন ও জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৈতৃক নিবাসে আসেন প্রধানমন্ত্রী।