শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের কবিতা
- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০ ৪৯২ বার পড়া হয়েছে
কেয়া সমঝগে আপ
চাইনিজ রেস্তোরাঁতে কোনো মিষ্টি পাওয়া যায়না বলে
জাহাঙ্গীর জিলিপি বানিয়ে নাম দিলেন জাহাঙ্গীরা।
সন্দেশ আবিষ্কার করে একজন বাঙালি ষষ্ঠীরসে জারিত করে ফেললেন মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রসবতী
তোমার রান্নাঘর
আঠারো বাই চৌদ্দ কিলোমিটার দূরের গ্রামের দিকে এগিয়ে চলেছে…
কোথাকার কোন কমলেশ চক্কর্তি
কাফকার উপন্যাসের জগতে বিচরণ করবার জন্য
সক্রেটিসের নীলক্ষেত এলাকার পথঘাট গুলোকে
অপশনাল পেপার থেকে বাধ্যতামূলক বিষয় করা নিয়ে হৈচৈ বাঁধিয়ে দিলেন।
কাকেরা কি কোনো
যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে?
বাঁকানো ঠোঁটের স্মিত হাসি মুখে
সম্পত্তির বিবর্তনবাদ নিয়ে পল লাফার্গের গম গাছে
আরাম করে হেলান দিয়ে জেড- লাইন এনজাইমেটিক সেরেল্যাক খেয়েই
ছুটলো হাজার হাজার মাইল দূরে!
মোঘল সম্রাট শাহজাহান মমতাজ বেগমকে যখন একটি গোলাপী প্রেমের মৃত্যু বিষয়ক স্টোরির উপাদান নিজ হাতে তুলে দিচ্ছিলেন-
তাজমহলের গম্বুজের চুড়ায় বিশ্রী দেখতে বায়সী ডেকে উঠলো- ক্যা..আ.
মকর সংক্রান্তি
অতল পাতাল ফুঁড়ে বেড়িয়ে পড়লো একটা বোটকা গন্ধ।
পুলিশের ইনফর্মারের মতে খ্রীস্টপূর্বের সমসাময়ীক কালে বক্ষু উপত্যকা থেকে
ইলিশ মাছ ধরার জন্য একটা জাল আজ অবধি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
হোদল নারায়ণপুর হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক তার চেয়ারের নীচে
দেখতে পেলেন হলুদ মাটির তলা আর ক্রমশই উপরে উঠে আসা একটি মাথা!
ছুটির ঘন্টা বেজে গেলো।
যেনো আজ-
আকাশ আর পাতালের মাঝ বরাবর বিষ্ণুপুরাণ এর সেই মকর সংক্রান্তি।
(শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস একাধারে কবি, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক)