শর্তজুড়ে তেল বিক্রি করলে কঠোর শাস্তি ভোক্তার ডিজি’র হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেল ওয়ালারা বিগত কিছুদিন ধরেই সরবারাহ বন্ধ রেখেছেন। অনেক সময় চোগোপ্তাভাবে কিছু তেল বাজারজাত করা হলেও দাম উর্ধমুখী। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পরিশোধিত সয়াবিন তেল বাজারজাত করলে গিয়ে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। দাম বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে আগেই তারা। তবে এ নিয়ে এখনও কোন ফয়সালা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তরফে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ভোজ্যতেল বিক্রিতে শর্তজুড়ে দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। রোববার তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
বলেন, বাজারে তেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ নানা ধরনের পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। বাজারে এসবের প্রমাণ মিলেছে কিন্তু তেল রিফাইনারিকারী কোম্পানিগুলো তা অস্বীকার করছে। আমরা যদি বাজারে এমন অবস্থা দেখতে পাই তাহলে কোম্পানি ও ডিলারদের জরিমানা করা হবে।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। এই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ভোজ্য তেলের চাহিদা বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত, মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারওয়ান বাজারের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোক্তার পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। ভোজ্যতেল মিল মালিক, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা এসময় উপস্তিত ছিলেন।
ফকির মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঢাকার ৪টি বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি খুচরা দোকানে তেল কম, ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তেলের সঙ্গে শর্তজুড়ে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে রশিদ দেখাতে পারছে না। এসও করে নির্দিষ্ট সময়ে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া খোলা ভোজ্যতেলের দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বোতলজাত তেলের চেয়ে বেশি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, বাজারে পাম তেল সরকারি দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সয়াবিন তেল নিয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। তেলের ক্ষেত্রে আমরা ৬টি রিফাইন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। গত ৩-৪ মাস যাবত তেল নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিতে হবে। কোম্পানিগুলো তেল এনে রিফাইন করে, আর আমরা তা বিক্রি করি। কয়েক বছর ধরে ট্যারিফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে।
তিনি কোম্পানিগুলোকে বলেন, দরকার পড়লে আবার দাম ঠিক করে নেন, তারপরও বাজার ঠিক রাখেন। ভোক্তাদের হয়রানি করবেন না। আমরা এবারের রমজানটা হালালভাবে ব্যবসা করতে পারি সেই কথা দিতে হবে কোম্পানিগুলোকে। তিনি সামান্য ব্যত্যয়ের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জরিমানা না করার আহ্বান জানান।