লন্ডনে সফরে ইউনূস-তারেক দীর্ঘ বৈঠক হতে যাচ্ছে

- আপডেট সময় : ১২:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলে বিএনপির রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। বরং দলকে কৌশলগতভাবে সংলাপ ও আলোচনার পথেই এগিয়ে নিয়ে পরামর্শ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
চারদিনের লন্ডনে সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের সরকার ড. ইউনূস। সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়টিতে জোর দেয়া হবে। বিএনপির সূত্রের খবর, সোমবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, আগামী ১৩ জুন ড, ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ করবেন। ইউনূস-তারেক বৈঠককালে ২৬-এর নির্বাচন প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
এর আগে ঢাকায় ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তারেক রহমান বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। তার সঙ্গে লন্ডন সফরে ড. ইউনূসের বৈঠক হলে দেশের জন্য মঙ্গলই হবে। লন্ডন সফরের শেষ দিন ১৩ জুন স্থানীয় ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রায় দুই ঘণ্টার একটি দীর্ঘ বৈঠক হবার কথা রয়েছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে শুরুতে বিএনপি কঠোর থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান নমনীয় করতে পারে বিএনপি। দলটির কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপেই এই অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। তার প্রমাণও পাওয়া যায় ঈদের শুভেচ্ছা জানানো যাওয়া দলটি নেতাদের ঘিরে।
শনিবার ঈদের রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে যান। সেখানেই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে খালেদা জিয়া স্পষ্টভাবে দলীয় নেতাদের জানিয়ে দেন, সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলে বিএনপির রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। বরং দলকে কৌশলগতভাবে সংলাপ ও আলোচনার পথেই এগিয়ে নিয়ে পরামর্শ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।