ফাইল ছবি সংগৃহীত
প্রতিমাসেই ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ বাড়ছে। গতিশীল হচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি আগস্ট মাসের মাত্র ২৫ দিনেই ১৫৫ কোটি (১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি
ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৯০ কোটি ডলার পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এ কারণে করোনা মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে ১ আগস্ট
ব্যাংক বন্ধ থাকায় ২ আগস্ট থেকে রেমিট্যান্সের হিসাব ধরা হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস আগস্টে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের
মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার।
২৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। যার পরিমাণ ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এরপর ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রায় ১৬ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১৩ কোটি ৮২ লাখ, সোনালী ব্যাংক ৮ কোটি ৯৬ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ১৮ লাখ
ডলার। এই সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।