রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের শুরুতে ২১ বিলিয়নের ঘরে উঠলেও মাঝামাঝি সময়ে আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসে। গত কয়েক সপ্তাহ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, বুধবার পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ২০ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উঠেছে। একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাব মতে, দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
গত ২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৭ কোটি (১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা হিসাব মতে, মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩১ কোটি (২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসাবে গত ৬ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। সে হিসাবটি শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণের প্রথমটি হলো, বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ আরও কয়েকটি তহবিল রয়েছে। দ্বিতীয় হিসাবটির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি। এ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে গঠিত তহবিল ধরা হয়। এর বাইরে যে হিসাবটি রয়েছে সেটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনা হয়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে, বিপরীতে বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেড়েছে।