ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রমজানে যেভাবে নাক কান গলা রোগের ওষুধের ব্যবহার করবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডা. এম আলমগীর চৌধুরী

এখন পবিত্র রমান মাস চলছে। রোজা রাখা অবস্থা অনেকেই চিন্তিত তারা কিভাবে ওষুধ ব্যবহার করবেন। তবে নাক, কান আর গলা রোগের ওষুধ কিভাবে ব্যবহার করবেন।

এসব রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় নাক বা কানের ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।

রোজায় কি করে এসব রোগের ওষুধ ব্যবহার করা যায়, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নাকে স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। অনেকের প্রশ্ন রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় নাকে ওষুধ দেওয়া যাবে কি না। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর নাকে ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা যায়। সেভাবে ডোজ সমন্বয় করে নেওয়া যাবে।

কান পাকা ও কানের অন্যান্য সমস্যা

কান পাকা বা কানে অন্যান্য রোগ হলে অনেক সময় কানে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর কানে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। রোজা রাখা অবস্থায় কানে ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ, কানের পর্দায় যদি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় প্রবেশ করতে পারে।

টনসিল প্রদাহ বা গলার অন্যান্য সংক্রমণ

গলায় টনসিল প্রদাহে বা অন্যান্য সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দিনে চারবার, কিছু আট ঘণ্টা পরপর ও অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক দুবার বা একবার খেতে হয়। পবিত্র রমজানে আমরা দিনে এক বা দুবার ওষুধ সেবন করতে হয়, এমন ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি, যেন রোগী ইফতার করে বা সাহ্রির সময় ওষুধ খেতে পারেন।

কোনো রোগীর চেকআপ লাগলে, তা রাতে করানো যেতে পারে। রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস একটা নিয়মনীতির মধ্যে চলে আসে। তাই রোজাদাররা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পান এবং শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এমনকি পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই রোগী খুবই ভালোভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে পারেন।

অনেকে অনেক ইফতারের আয়োজন করেন ও তেলেভাজা বেশি খাদ্য গ্রহণ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, পবিত্র রমজান হলো সংযমের মাস। তাই ইফতার ও সাহ্রির সময় সংযমী হওয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রমজানে যেভাবে নাক কান গলা রোগের ওষুধের ব্যবহার করবেন

আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

ডা. এম আলমগীর চৌধুরী

এখন পবিত্র রমান মাস চলছে। রোজা রাখা অবস্থা অনেকেই চিন্তিত তারা কিভাবে ওষুধ ব্যবহার করবেন। তবে নাক, কান আর গলা রোগের ওষুধ কিভাবে ব্যবহার করবেন।

এসব রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় নাক বা কানের ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।

রোজায় কি করে এসব রোগের ওষুধ ব্যবহার করা যায়, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নাকে স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। অনেকের প্রশ্ন রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় নাকে ওষুধ দেওয়া যাবে কি না। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর নাকে ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা যায়। সেভাবে ডোজ সমন্বয় করে নেওয়া যাবে।

কান পাকা ও কানের অন্যান্য সমস্যা

কান পাকা বা কানে অন্যান্য রোগ হলে অনেক সময় কানে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর কানে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। রোজা রাখা অবস্থায় কানে ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ, কানের পর্দায় যদি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় প্রবেশ করতে পারে।

টনসিল প্রদাহ বা গলার অন্যান্য সংক্রমণ

গলায় টনসিল প্রদাহে বা অন্যান্য সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দিনে চারবার, কিছু আট ঘণ্টা পরপর ও অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক দুবার বা একবার খেতে হয়। পবিত্র রমজানে আমরা দিনে এক বা দুবার ওষুধ সেবন করতে হয়, এমন ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি, যেন রোগী ইফতার করে বা সাহ্রির সময় ওষুধ খেতে পারেন।

কোনো রোগীর চেকআপ লাগলে, তা রাতে করানো যেতে পারে। রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস একটা নিয়মনীতির মধ্যে চলে আসে। তাই রোজাদাররা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পান এবং শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এমনকি পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই রোগী খুবই ভালোভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে পারেন।

অনেকে অনেক ইফতারের আয়োজন করেন ও তেলেভাজা বেশি খাদ্য গ্রহণ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, পবিত্র রমজান হলো সংযমের মাস। তাই ইফতার ও সাহ্রির সময় সংযমী হওয়া প্রয়োজন।