ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত-পাকিস্তান কোনো সংঘাত চায় না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চল্লিশোর্ধ্ব নারীর প্রেম ও শরীরের ভাষা: আত্মোপলব্ধির এক অসমাপ্ত অধ্যায় ভারত বাড়াবাড়ি করলে চরম মূল্য দিতে হবে, আব্বাসির হুঁশিয়ারি ভারতের গুজরাটে এক হাজারের বেশি  বাংলাদেশিকে আটক শান্তি অগ্রাধিকার, দুর্বলতা নয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ পেঁয়াজ সংক্ষণ ব্যবস্থানার  অভাবেই সংকট আশার বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই: ড. ইউনূস ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুখবর দিলেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই সংলাপ: গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন স্থগিত চায় এনসিপি-মজলিস

রমজানে ইফতার পালনের ইতিহাস

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ৯০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইফতার আরবি শব্দ। কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, রোজাদারদের জন্য সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত খাওয়া, পান করা, স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা হারাম।

এই আয়াতের নির্দেশ অনুসারে, মুসলিমরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙে এবং ইফতার করে। ইফতার পালনের ইতিহাস ইসলামের সূচনালগ্নেই শুরু হয়।

হযরত মুহাম্মাদ নিজে খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন। তারপর তিনি পানি পান করতেন এবং হালকা খাবার খেতেন। ইফতারের পর তিনি নামাজ আদায়ে দাঁড়াতেন।

রমজান মাসে মুসলমানদের একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার। সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙার জন্য খাবারের নাম ইফতার। ইফতার খেজুর, পানি বা শরবত এমন হালকা খাবার দিয়ে শুরু হয়। তারপর ভারী খাবার পরিবেশন করা হয়। খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত।

মুসলিম জনগোষ্ঠী জন্য ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। সারাদিনের রোজার রাখার পর সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় একসাথে সবাই পরিবার বা যে যেখানে থাকুন ইফতারি করে থাকেন।

রোজা এবং ইফতার আত্মত্যাগ, ধৈর্য, এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। এটি মুসলিমদের সারাদিন রোজা রাখার পরে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। ইফতার সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।

২০২৩ সালে ইউনেস্কো মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় রীতি ইফতারকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আওতাভুক্ত করে।

ইউনেস্কোর ভাষায়, ইফতার (ইফতারি কিংবা ইফতর হিসেবেও পরিচিত) রমজান মাসে সব ধরনের ধর্মীয় বিধান মানার পর সূর্যাস্তের সময় মুসলিমদের পালনীয় রীতি। সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি তাদের সারাদিনের রোজা ভাঙার এবং পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ইফতার পালনের বিভিন্ন রীতি-নীতি প্রচলিত হয়েছে। প্রাচীনকালে মুসলিমরা ইফতারে সাধারণত খেজুর, পানি, দুধ, ফল এবং হালকা খাবার খেত। পরবর্তীকালে ইফতারের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, মুখরোচক খাবার, মাংস, ভাত, ডাল, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া হয়।

ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠান। এটি তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রমজানে ইফতার পালনের ইতিহাস

আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ইফতার আরবি শব্দ। কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, রোজাদারদের জন্য সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত খাওয়া, পান করা, স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা হারাম।

এই আয়াতের নির্দেশ অনুসারে, মুসলিমরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙে এবং ইফতার করে। ইফতার পালনের ইতিহাস ইসলামের সূচনালগ্নেই শুরু হয়।

হযরত মুহাম্মাদ নিজে খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন। তারপর তিনি পানি পান করতেন এবং হালকা খাবার খেতেন। ইফতারের পর তিনি নামাজ আদায়ে দাঁড়াতেন।

রমজান মাসে মুসলমানদের একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার। সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙার জন্য খাবারের নাম ইফতার। ইফতার খেজুর, পানি বা শরবত এমন হালকা খাবার দিয়ে শুরু হয়। তারপর ভারী খাবার পরিবেশন করা হয়। খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত।

মুসলিম জনগোষ্ঠী জন্য ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। সারাদিনের রোজার রাখার পর সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় একসাথে সবাই পরিবার বা যে যেখানে থাকুন ইফতারি করে থাকেন।

রোজা এবং ইফতার আত্মত্যাগ, ধৈর্য, এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। এটি মুসলিমদের সারাদিন রোজা রাখার পরে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। ইফতার সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।

২০২৩ সালে ইউনেস্কো মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় রীতি ইফতারকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আওতাভুক্ত করে।

ইউনেস্কোর ভাষায়, ইফতার (ইফতারি কিংবা ইফতর হিসেবেও পরিচিত) রমজান মাসে সব ধরনের ধর্মীয় বিধান মানার পর সূর্যাস্তের সময় মুসলিমদের পালনীয় রীতি। সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে।

ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি তাদের সারাদিনের রোজা ভাঙার এবং পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও যা পরিবার এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ইফতার পালনের বিভিন্ন রীতি-নীতি প্রচলিত হয়েছে। প্রাচীনকালে মুসলিমরা ইফতারে সাধারণত খেজুর, পানি, দুধ, ফল এবং হালকা খাবার খেত। পরবর্তীকালে ইফতারের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, মুখরোচক খাবার, মাংস, ভাত, ডাল, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া হয়।

ইফতার পালন মুসলিমদের জন্য একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠান। এটি তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।