যুক্তরাষ্ট্রে ডিম সংকট মোকাবিলায় আমদানির সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের

- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে চলা বার্ড ফ্লুর প্রভাবে দেশটিতে তীব্র ডিম সংকট দেখা দিয়েছে।
ডিমের সংকট কাটিয়ে ওঠতে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শিগগিরই আমদানি শুরু করবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিম আমদানি সংক্রান্ত চলছে আলোচনা। তাতে বাজারে ডিম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে করছে দেশটির সরকার।
সংকট চরম রূপ নেয়ায় দেশটির অধিকাংশ দোকানে ডিম ক্রয়ের সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চাহিদা ও সরবরাহ কম থাকায় একসঙ্গে দুটি ডিমের বেশি কেনা যাবে না।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে দেশটির খামারগুলোতে ১৫ কোটিরও বেশি মুরগি মারা যায়। এর ফলে ডিমের উৎপাদন আকস্মিকভাবে কমে যাবার পাশাপাশি রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে একশ কোটি ডলারের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ উদ্যোগের আওতায় আমদানির পাশাপাশি খামারিদের আর্থিক সহায়তা ও খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।
এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই উদ্যোগ সাময়িক উল্লেখ করে প্রশাসন জানায়, দেশীয় খামারগুলো পুনরায় উৎপাদনে ফিরলে আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
বার্ড ফ্লুর বিস্তার রোধে খামারগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সরকারের অর্থায়নে কৃষি বিভাগের বিশেষ দল পরিদর্শন করছে খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বার্ড ফ্লু রোধে বায়োসিকিউরিটিও বাড়ানো হয়েছে। এর জন্য ৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে ভ্যাকসিন গবেষণায় যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মহামারি এড়ানো যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারের জন্য ৪০ কোটি ডলারের একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
ডিমের সংকটের জন্য আগের সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সংকট শুধুমাত্র প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে চলা বার্ড ফ্লুর প্রভাবেই চরমে পৌঁছেছে। নতুন আমদানি উদ্যোগ পরিস্থিতি কতটা সামাল দিতে পারবে, তা দেখার অপেক্ষায় বাজার বিশ্লেষকরা।