মুজিববর্ষে কত টাকা অপচয় হয়েছে, বের করা হবে: প্রেস সচিব
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি, সেখানে মুজিববর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি কিছু ম্যুরাল বানিয়ে, কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে। শুধু সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকেও ফোর্স করা হয়েছে।
আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন পদ্মাসেতুতে দুটি ম্যুরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চিন্তা করা যায়!
মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল, কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এ সিদ্ধান্ত হয়েছে কেবিনেটে।
শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকীর নামে বিগত বছরগুলোয় আওয়ামী লীগ সরকার মুজিববর্ষ নামে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা অপচয় করেছে। কোন কোন মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচির নামে কত টাকা খরচ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার তার একটি ডুকমেন্টেশন করবে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য তুলে ধরেন, প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শফিকুল আলম বলেন, মুজিববর্ষকে ঘিরে কীভাবে একটা উন্মাদনা হয়েছে। এ উপলক্ষে কি ধরণের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে সেটা নিয়ে ডকুমেন্ট করার কথা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে হাত পাতছি; ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিববর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি কিছু ম্যুরাল-স্ট্যাচু বানিয়ে। কেউ মুজিব কর্নার করেছে, কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছে। মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের একটা উন্মাদনা ছিল।
টাকা অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে অপচয় নিয়ে মন্ত্রণালয়গুলো সেই ডকুমেন্টেশনগুলো করবে। আমরা একটা পত্রিকায় রিপোর্ট দেখেছি, যদিও সেটা যাচাই করতে পারিনি। পত্রিকাটি বলছে, শুধু ম্যুরাল বানানোর নামে চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১০ হাজার মূর্তি বানানো হয়েছে। অথচ তারাই (আওয়ামী লীগ সরকারই) আবার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল।