মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে, ড. মোমেন

- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা ট্যাবলেট ও মানবপাচারের অন্যতম রুট হয়ে ওঠেছে মিয়ানমার
সীমান্ত। কাড়ি কাড়ি নেশার ট্যাবলেট পাচার হয়ে আসছে বাংলাদেশে। এসব অবৈধ কর্মকান্ড ও
চোরাচালান ঠেকাতে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী ড. এ
কে আব্দুল মোমেন। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বর্ডারে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু
অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলে মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান
বন্ধ হবে। তবে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয়
সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ড. মোমেন আরও বলেন,
১৯৭৮ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এরপর ১৯৯২ সালে আরও ২ লাখ ৫৩ হাজার।
আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে যায়। আর বাকিরা
জাতিসংঘের আশ্রয়ণে থেকে যায়। এখনকার সংখ্যা ১১ লাখ। এনজিওগুলো ওদের ফিরিয়ে
দেওয়ার কথা না বলে, দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে। অথচ গত ৪ বছর রাখাইনে কোনো মারামারি নেই।
এখানে রেখে তারা তাদের ভালো রাখার চিন্তা করছে। তারা কথা বলতে গেলে বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে।
বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক টাকা দিচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা কীভাবে খরচ হচ্ছে, তা
সরকার জানেনা বলেও উল্লেখ করেন ড. মোমেন। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিষয়ে ড.
মোমেন বলেন, ছেলেটা রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে কথা বলেছিল। ওকে মেরে ফেলা
হলো। সে বলতো বাংলাদেশে আমাদের ভবিষ্যত নেই। ওখানে গেলে আমরা ভালো থাকবো। কিন্তু
তাকে মেরেই ফেললো! মুহিবুল্লাহর হত্যার বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক তথ্য নেবো, খুনিদের শাস্তি
হবে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, আমরা খুবই দানবীর। আমরা
বর্ডারে কাউকে মারি না। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশী দেশের হাতে এক-দু’জন মারা গেলে মিডিয়া
আমাদের জান শেষ করে দেয়। কেউ মরলে মিডিয়ায় চিৎকার শুরু হয়। বাংলাদেশ-ভারত
নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বর্ডারে একটি লোকও মরবে না। মিয়ানমার সীমান্ত ঝামেলাপূর্ণ
উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে গুলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রক আরও ভালো বলতে পারবে। এই বর্ডার খুবই ডিফিকাল্ট।
অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম
কুমার দোরাইস্বামী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার, জেলা প্রশাসক এম কাজি
এমদাদুল ইসলাম, সিলেট জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন
আহমদ, জেলা সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. সুলতানা রাজিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয়
পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ,
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মইনুল হক প্রমুখ।
দেন।