মারা গেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ

- আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
বিশিষ্ট কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান স্কয়ার হাসপাতালের তরফে।
সন্ধ্যায়ই খবরটি আছড়ে পড়ে। তখন সবেমাত্র সন্ধ্যার সাজবাতি জ্বালিয়ে আলো ছড়ানোর চেষ্টাকালেই তিনি চলে গেলেন। তিনি ঢাকার পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়াটা নাগাদ সৈয়দ আবুল মকসুদকে মৃতঘোষণা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর মৃত্যুতে বৃদ্ধিজীবী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে তাকে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌছানোর পর চিকিৎসকেরা জানিয়ে তিনি আগেই মারা গিয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ঋষিজ পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু প্রভৃতি, বিকেলবেলা, প্রবন্ধ: যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা, জীবনী: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি, ভ্রমণকাহিনি: জার্মানির জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি ইত্যাদি।
১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের এলাচিপুরে সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া আবুল মকসুদ ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। পরে তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দিলেও জাতীয় দৈনিকগুলোতে সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কলাম লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। জীবনের শেষ পর্যন্ত সৃজনশীলতার এসব ক্ষেত্রে তিনি সরব ছিলেন।